TMC

কৌশল শিকেয়, সাংগঠনিক সভায় উঠল দুর্নীতির কথা

জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেই ফেললেন, “মাছ চুরি হয় হোক, দেখবেন পুকুর চুরি যেন না হয়।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

তৃণমূলের ভোটকুশলী পিকে-র দলের সঙ্গে মঙ্গলবার ছিল আসন্ন পুরভোটের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা। অথচ সেই বৈঠকে জেলার মেজ-সেজ নেতারা বলতে উঠে টেনে আনলেন সেই পুরনো গোষ্ঠী কোন্দল এবং দলের স্থানীয় নেতাদের বিবিধ দুর্নীতির কেচ্ছা। পরস্পরকে দোষারোপ করার পাশাপাশি পিকে-র দলের সদস্যদের শুনতে হল এলাকার কাটমানি, দালালি-সহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা। যা শুনে জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেই ফেললেন, “মাছ চুরি হয় হোক, দেখবেন পুকুর চুরি যেন না হয়।” দুর্নীতির দোষারোপের পাহাড় জমতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক সময় জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে সতর্ক করতে হয়, ‘‘যে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের যেন পুরভোটে টিকিট দেওয়া না হয়।’’ জেলা সভাপতি আবু তাহের খানও বলেন, ‘‘যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে দল কঠোর থেকে কঠোরতম সিদ্ধান্ত নেবে।’’

Advertisement

পুরভোটকে সামনে রেখে ২ মার্চ কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের কাউন্সিলর ও সাংগঠনিক পদাধিকারীদের বৈঠক ডেকেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় যাওয়ার আগে মঙ্গলবার বহরমপুর শিল্পতালুকের এক অনুষ্ঠান বাড়িতে এই সভা হয়।

দুর্নীতির প্রসঙ্গই কেন এই সভায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল? তৃণমূলের অন্দরের খবর, ১৪ ফেব্রুয়ারি পিকে-র দলের সঙ্গে জেলা কার্যালয়ে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়।

Advertisement

সেখানে পিকে-র দল জেলা নেতাদের জানান, স্থানীয় স্তরে দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পিকে-র দল জানিয়েছিল, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূত্রে এমন অনেক অভিযোগ তাঁদের কানে গিয়েছে।

তাঁদের ধারণা, আসন্ন পুরভোটে দুর্নীতির প্রসঙ্গেই অনেকে তৃণমূলের উপর থেকে আস্থা সরিয়ে নিতে পারেন। সেই আশঙ্কা থেকেই তাঁরা জেলা নেতাদের সতর্ক করে যান। এ দিন আবু তাহের ছাড়াও মন্ত্রী জাকির হোসেন, সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনও বক্তৃতায় দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন। মন্ত্রী জাকির বলেন “মাছ চুরি হয় হোক, দেখবেন পুকুর চুরি যেন না হয়।”

সেই সঙ্গে এ দিনের সভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও ওঠে। খোদ জেলা সভাপতিই বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সব থেকে ক্ষতি হচ্ছে আমাদেরই। সে কথা সকলকে বুঝতে হবে।’’

আবু তাহের বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোট আমাদের পাখির চোখ। তার আগে পুরভোট হল অ্যাসিড টেস্ট। সেখানে কোনও দুর্বলতাই যেন না থাকে, সে দিকে সকলকে নজর রাখতে হবে।’’ একই কথা বলেন অন্য নেতারাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement