যত কাণ্ড কাটমানিতে, মুখ লুকোচ্ছেন নেতারা

কার্ড হাতিয়ে উধাও সদস্য, অভিযোগ

আমডহরার ৫৮ জন জব কার্ড হোল্ডার,  প্রধানের বিরুদ্ধে ভগবানগোলার বিডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পরেই গ্রাম ছাড়া তারিকুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিতলা  শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

প্রতিবাদে বাজল ধামসা: বুধবার বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

একশো দিনের প্রকল্পে কাজই পাননি তাঁরা। অথচ তাঁদের জব কার্ড হাতিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ভগবানগোলা ২ ব্লকের আমডহরা পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের সেলিনা বিবির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর স্বামী, প্রাক্তন প্রধান তারিকুলের মদতেই দিনের পর দিন ধরে ওই কাণ্ড হচ্ছে।

Advertisement

আমডহরার ৫৮ জন জব কার্ড হোল্ডার, প্রধানের বিরুদ্ধে ভগবানগোলার বিডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পরেই গ্রাম ছাড়া তারিকুল।

তাঁদের অভিযোগ, ‘কাজ মিলবে কিছু দিনের মধ্যেই, তবে জব কার্ড জমা দিতে হবে’, ২০১৩ সালে এমনই শর্ত দিয়ে কার্ড হাতিয়ে নিয়েছিল তারিকুল। তার পর না মিলেছে কার্ড না কাজ। সে সময়ে সিপিএমের তাবড় নেতা ছিল তারিকুল। তবে পালাবদলের কিছু দিনের মধ্যেই ভোল বদলে তৃণমূলে ভিড়ে যায় সে। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তার প্রতিপত্তি। সামাদ শেখ বলছেন, ‘‘আমার কার্ড নেওয়ার সময়ে তারিকুল স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিল, ‘টাকা ছাড় কাজ পাবে!’’

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় তারিকুলের স্ত্রী সেলিনা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন ছড়ি ঘোরাত তারিকুলই। কাজ দেওয়া দূরস্থান, কার্ড ফেরত চাইতে গেলে পাল্টা হুমকি শুনে মাথা নিচু করেই ফিরে আসতেন গ্রামবাসীরা। এত দিন মুখ বুজে তাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর ‘অভয়’ দেওয়ায় এ বার সোচ্চার হয়েছেন ওই জব কার্ড হোল্ডারেরা।

এ ব্যাপারে ভগবানগোলা ২ বিডিও তাপসকুমার হাজরা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই তলব করা হয়েছিল ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে। তিনি আসেননি। তবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’’

তবে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই মানতে চাননি আমডহরা পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবি। তিনি চেনা স্বরে বলেন, ‘‘এ সবই সাজানো ঘটনা।’’ আর তারিকুল ফোনে বলেন, ‘‘জব কার্ড আমার কাছে আছে। তবে ওই কার্ডে কোনও কাজই হয়নি। টাকা আত্মসাৎ করেছি বলাটা খুবই সহজ যারা অভিযোগ করছে তাদের কাছে কোনও প্রমান আছে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement