ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।
সমাজ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা বলে সম্মানহানি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে বেলডাঙার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বহরমপুর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বুধবার দুপুরে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত মুস্তাক আহমেদ হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ দিন হুমায়ুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হরিহরপাড়ার মঞ্চ থেকে এবং বহরমপুর স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে নেমে যখন আমাকে বলেছিলেন হুমায়ুন তুমি দেখে নিও ইউসুফ পাঠান যাতে জিতে সেটা তোমাকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে, তখন থেকে এখানকার দলের নেতৃত্বদের আমি চক্ষুশূল হয়ে গেলাম। মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ করে আমাকে দেখতে বলেছেন। আর দলের জেলা সভাপতি বলছেন— দেখুক না, চোখ আছে ঘুরে ঘুরে দেখবে। আর দলের চেয়ারম্যান নাকি হরিহরপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনেননি। তাঁদের ইন্ধনে বেলডাঙা থেকে আমাকে অসম্মান করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সমাজ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক এই কাজগুলো চলছে। আমাকে যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, তা হুমকির মতো। যিনি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আতিবুর রহমানের সম্পর্কে আত্মীয়। তবে আতিবুর সাহেব অসুস্থ। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।’’
অভিযুক্ত মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘‘হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। বেলডাঙার একটি গরিব পরিবারের জমি প্রোমোটাররা দখল করতে চাইছে বেআইনি ভাবে। আর সেই দখলদারদের পক্ষ নিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। আমি সেই অসহায়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। স্থানীয় বিধায়ক সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগও করেছি। তাঁদের সঙ্গে মিলে হুমায়ুন কবীর যাতে তার সমাধান করেন, সেই দাবি সমাজ মাধ্যমে করেছি।’’ হুমায়ুন অবশ্য বলেন, তিনি এমন কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সমাজ মাধ্যমে কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কারও বিরুদ্ধে কিছু লেখেন, আমি তার ঘোরতর বিরোধী। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটাই দলের স্ট্যান্ড। দলের নেতাকর্মী কারও বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে কিছু লেখা যাবে না।’’
জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘‘‘আমরা কেন তাঁর বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে লিখতে কাউকে উৎসাহ দেব? কে কী লিখেছেন, তা কী করে বলব।’’