—প্রতীকী চিত্র।
সমীক্ষার পর তালিকায় ভুরি ভুরি গলদ। অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা বিত্তশালী, পাকা বাড়ির মালিক তাঁদেরও আবাস যোজনায় শমসেরগঞ্জে নাম আছে। আবার যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, চাটাইয়ের বাড়িতে রয়েছেন তাঁদের নাম নেই তালিকায়। অবিলম্বে এই তালিকা বদলে ঠিক মতো সমীক্ষা করে যোগ্য পরিবারের নাম রাখতে হবে তালিকায়। এ বার এই দাবি তুললেন বিরোধীরা নয়, খোদ তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল হক বিপ্লব।
সোমবার সকালে এই সব বঞ্চিত কয়েকশো মানুষজনকে নিয়ে সভা করলেন বিপ্লব। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে পাশে নিয়ে বিল্পব বলেন, “যাঁরা যোগ্য অথচ বঞ্চিত মঙ্গলবার (অর্থাৎ আজ) ব্লক অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আবেদন জমা দিতে হবে।”
তার অভিযোগ, “সমীক্ষার পরও বহু অযোগ্য লোকের নাম রয়েছে তালিকায় গোটা ব্লকেই। গত ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন যাদের পাকা বাড়ি নেই তা সমীক্ষা করে দেখতে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সমীক্ষার পরও ৯টি পঞ্চায়েতে যাঁরা পাওয়ার যোগ্য তাঁদের বহু পরিবারের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বহু জায়গায় দেখা যাচ্ছে যারা আবাস পাওয়ার কথায় নয়, সেই সব পাকা বাড়ির মালিকদের নামও রাখা হয়েছে তালিকায়। মার্বেলের বাড়ি, দোতলা তিন তলা বাড়ি রয়েছে তাঁদের। ফলে মানুষজন সন্তুষ্ট নয়।”
তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, “বিত্তশালী যাঁরা ঘর পেয়েছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হবে। তৃণমূল একান্নবর্তী পরিবার।কিন্তু তার মধ্যে যারা তোলাবাজ তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে প্রশাসন এই তালিকা তৈরি করেছে। ফলে তালিকা অনেকটাই ভুলে ভরা। সেই কারণেই সোমবার দলের নেতা কর্মী ও বঞ্চিত পরিবারগুলিকে ডেকে আজ সভা করা হল। বিডিও জানিয়েছেন যাঁরা প্রকৃতই কাঁচা বাড়িতে বাস করেন তালিকায় নাম থাকলেও সে নাম বাতিল হয়েছে, তাঁরাই মঙ্গলবারের মধ্যে আবেদন করলে আবার সমীক্ষা করে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।”
তিনি বলেন, “সমীক্ষায় চরম গাফিলতি হয়েছে। বিডিও অফিসের লোকজন সমীক্ষা করেছেন, তাঁরা যাঁদের পরামর্শে তা করেছেন তাঁদের জন্যই এত নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ গিয়েছে।”
অভিযোগ উঠেছে ফরাক্কাতেও। পাকা দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের নাম বাংলা আবাস যোজনায় তালিকায় থাকায় বির্তক বেধেছে ফরাক্কায়। ফরাক্কা ব্লকের জেলা পরিষদের সদস্যা আঞ্জুমারা খাতুন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলার গরিব মানুষদের কথা ভেবে আবাস যোজনায় বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের দায়িত্বহীনতায় প্রকৃত গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তা তালিকা প্রকাশের পর প্রমাণিত। অবিলম্বে ফরাক্কা ব্লকে নতুন করে সমীক্ষা করে তালিকা তৈরি করতে হবে।”