TMC

ভরতপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত দলেরই ব্লক সভাপতি

অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি বৈঠক স্থগিত রাখতে হয়। বৈঠক চলাকালীন মঞ্চে বসা নিয়ে তৃণমূলের ‘দুই গোষ্ঠীর’ নেতার বিবাদে ঘটনার সূত্রপাত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ২২:২১
Share:

কাগ্রাম তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তাপস রায়। —নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভরতপুরের কাগ্রাম তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তাপস রায়কে শনিবার সকালে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করা হল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিমল দত্ত।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের কান্দি মহাকুমার ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের কাগ্রামে শতবর্ষ প্রাচীন চোদ্দোটি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। ভরতপুর থানার উদ্যোগে শুক্রবার সে পুজোর প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তা স্থগিত রাখতে হল। কাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে বৈঠক চলাকালীন মঞ্চে বসা নিয়ে তৃণমূলের ‘দুই গোষ্ঠীর’ নেতার বিবাদে ঘটনার সূত্রপাত। তা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি তাপস এং ব্লক সভাপতি-ঘনিষ্ঠ পরিমল।

পুজো কমিটির পক্ষ থেকে তাপসের দাবি, ‘‘মঞ্চে কেবলমাত্র পদাধিকারীদের বসার জায়গা। ব্লক সভাপতির আত্মীয়তা কিংবা বন্ধুত্ব দেখানোর জায়গা প্রশাসনিক মঞ্চ নয়।’’ এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন ব্লক সভাপতি-ঘনিষ্ঠ পুজো কমিটির লোকজন। উভয় পক্ষের বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ভরতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তৎক্ষণাৎ বৈঠক স্থগিত করে দেন বলে দাবি। পুলিশি তৎপরতায় যুযুধান দু’পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থা সামাল দেওয়া হয়। অভিযোগ, এর প্রতিশোধ নিতে মুস্তাফিজুর এবং পরিমল তাঁদের দলবল নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কাগ্রাম বাজারে তাপসের উপরে চড়াও হন। তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এর জেরে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তাপস। তাঁকে উদ্ধার করে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। তাপসের অভিযোগ, ‘‘মুস্তাফিজুর, পরিমল এবং তাঁদের দলবল লোহার রড-বাঁশ দিয়ে আমার উপরে আক্রমণ চালান। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিলেন।’’ যদিও ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘শতবর্ষ প্রাচীন পুজো যে ভাবে হয়ে আসছে। এ বারও সে ভাবেই হবে। ব্লক সভাপতি-ঘনিষ্ঠকে প্রশাসনিক স্তরে গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। শুক্রবার পরিমল দত্তের মঞ্চে বসার আপত্তি করেছিলেন তাপস’দা। তার প্রতিশোধ নিতেই মুস্তাফিজুর এবং পরিমল আজ তাপস’দার উপরে আক্রমণ চালালেন। অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে বলব।’’ অন্য দিকে, মারধরেন অভিযুক্ত মুস্তাফিজুরের দাবি, ‘‘শুক্রবারের প্রস্তুতি বৈঠকের ঘটনায় কাগ্রামের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ ছিল। সেই জনররোষে আজ সকালে তাপস রায়ের উপর আক্রমণ হয়েছে। এটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। তাপস রায় এই মুহূর্তে কোনও দলীয় পদে নেই। তিনি প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement