বিধায়কের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী হওয়ার কারণে ৬০ পাউন্ড কেক করা হবে। এক একটি কেক হবে পাঁচ পাউন্ডের। প্রতীকী চিত্র।
আজ রবিবার, ইংরেজি বর্ষের প্রথম দিন। নতুন বছর শুরু হতেই প্রথম সপ্তাহ জুড়ে জন্মদিনের উৎসবে মেতে উঠবে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্র। তৃণমূলের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসের আগামী এক সপ্তাহ ধরে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্ব। ৩ জানুয়ারি হুমায়ুন কবীরের জন্মদিন ও ৫ জানুয়ারি দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। তৃণমূল সূত্রে জানাযায় ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রথমে ওই কেন্দ্রের ভরতপুর ২ ব্লকের বিধায়ক কার্যালয়ে ও পরে ভরতপুর ১ বিধায়ক কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। ওই দিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হবে এবং তারপর মিষ্টি মুখের মধ্যে দিনটি উদ্যাপন করা হবে।
বিধায়কের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী হওয়ার কারণে ৬০ পাউন্ড কেক করা হবে। এক একটি কেক হবে পাঁচ পাউন্ডের। পাঁচ পাউন্ড ওজনের ১২টি কেক থাকবে। ওই দিন এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার দলীয় নেতা ও কর্মীর দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার হবে। দুপুরের খাবারের পরে বিকালে কেক কেটে বিধায়ক হুমায়ুনের জন্মদিন পালন করা হবে। বিচিত্রানুষ্ঠানও হবে। ওই ব্লকের যুব সভাপতি আশরাফ শেখ ও প্রদেশ যুব কমিটির সদস্য আনারুল ইসলাম জানান, যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিধায়কের জন্মদিন পালন করবেন তাঁরা। আশরাফ বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে বিধায়ক কাকার জন্মদিন পালন করা হবে।” বিচিত্রা অনুষ্ঠান বাবদ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এবং দুপুরের খাবারের মেনুতে ভাত, ডাল, পাঁচতরকারি, মাছের ঝোল, পাঁপড়, চাটনি সঙ্গে রসগোল্লা থাকছে। তাতে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ও ৬০ পাউন্ডের কেক বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে বুধায়ক হুমায়ুনের জন্মদিন উৎযাপন করা হবে। বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “তাও তো দইয়ের ব্যবস্থা করছিল, কিন্তু শীতের সময় দই খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে। তাতে কর্মীদের শরীর খারাপ হবে, সেটাও তো আমাকেই দেখতে হবে নাকি!”
দলনেত্রীর জন্মদিনের সমস্ত ব্যবস্থা নিজে হাতে করছেন হুমায়ুন। ১৪টি কেক থাকবে, যার ওজন ৬৮ পাউন্ড। ওই কেক কেটে নেত্রীর জন্মদিন পালন করা হবে।
বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “আমাদের নেত্রী সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকতে ভালবাসেন, সেই কারণে ওই দিন শীতবস্ত্র ও কাপড় দেওয়া হবে। এবং জেলার বিধায়ক, সাংসদ সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে করছি।”