প্রতীকী ছবি
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য মত, মুর্শিদাবাদে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০১। সুস্ত হয়েছেন ৪৩৭ জন। মৃত্যু হয়েছে
মোট ৭ জনের। আগেই মারা গিয়েছিলেন ৫ জন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের লক্ষ্মীজোলা গ্রামের এক বয়স্ক ব্যক্তি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নানা উপসর্গ নিয়ে প্রথমে ভর্তি হন। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষায় তার করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। এদিন বহরমপুর কোভিড হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আর এক জন শক্তিপুরের। তিনি কলকাতায় চিকিতসা করাতে গেছিলেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’
করোনার প্রকোপ কমছে শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কায়। রবিবার আক্রান্তের তালিকায় নাম নেই ওই দুই ব্লকের এক জনেরও। ফলে কিছুটা স্বস্তিতে দুই ব্লকেরই স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। তুলনায় সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে রঘুনাথগঞ্জের দুই ব্লকে। দুই ব্লকে এ দিন ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাই করোনার সামগ্রিক প্রকোপ জেলায় এখনও কমেনি। জেলায় এদিন ২৬ জন করোনা পজ়িটিভ, যাঁদের জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের সেকেন্দ্রায় কয়েকদিন আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ জন। রবিবার ওই পরিবারেরই এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে একজন দেড় বছরের শিশুও রয়েছে। তাঁরা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। কান্দিতে মহকুমা হাসপাতালের এক কর্মীর দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। কান্দি পুরএলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক পরিবারে প্রথম আক্রান্ত হন ১ জন, পরে আরও ২ জন। সেই পরিবারেই এদিন ফের আক্রান্ত হয়েছেন এক শিশু ও মহিলা। বড়ঞা থানাতেও আক্রান্ত হয়েছেন এক সিভিক কর্মী।
রবিবার জেলার বাইরে থাকা ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। সবমিলিয়ে এদিন জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে অবশ্য জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছে ৬৪৫ । সুস্থ হয়েছেন ৪৫৫ জন। মৃত্যুর সংখ্যা সেখানেও বলা হয়েছে ৭।
রবিবার বিকেলে রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আখরুজ্জামান বহরমপুর কোভিড হাসপাতাল থেকে জঙ্গিপুরের সম্মতিনগরে তাঁর বাড়ি ফিরেছেন। গত ১৬ জুলাই তার করোনা ধরা পড়ে। এদিন তাঁকে তাঁর বাড়ির সামনেই সংবর্ধনা তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা। তিনি বলেন, ‘‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করলেই করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। গত কিছু দিনে রাজনৈতিক কাজ করতে দুটো বিষয়কে গুরুত্ব না দেওয়াতেই আক্রান্ত হই।’’