—প্রতীকী চিত্র।
জলে টইটম্বুর কাঁসাই নদী থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। শনিবার এ নিয়ে চাঞ্চল্য মেদিনীপুর শহর লাগোয়া পালবাড়ি এলাকায়। এখনও মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। বানভাসি হয়ে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কি না, এ নিয়ে চলছে চাপানউতর।
পুলিশ সূত্রের খবর, কাঁসাই নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে সকালে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। বন্যার জলে পড়ে গিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা কি না, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বস্তুত, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির সঙ্গে ব্যারাজ থেকে ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে। কাঁসাই নদীতেও জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। গত এক দিনে ব্যারাজ থেকে জল কম ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টিও হয়নি। ফলে কিছু জায়গায় শনিবার জলস্তর কমেছে। বানভাসি ঘাটালেও জল কমতে শুরু করেছে। যদিও নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। শনিবার রাজ্য সড়কগুলি থেকে জল কমে যাওয়ায় আবার যান চলাচল শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের তরফে বিলি হচ্ছে ত্রাণ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারেরা স্পিডবোটে করে ত্রিপল, শিশুদের খাবার, পানীয় জল ইত্যাদি পৌঁছে দিচ্ছেন। এর মধ্যে শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন উপদ্রুত এলাকায়। ফলত পরিস্থিতি খানিকটা হলেও স্বাভাবিকের পথে।
জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান বলেন, ‘‘ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, দাসপুর, ডেবরা-সহ বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে এসে যে সব নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মতো কাজ করা হচ্ছে।’’ জেলাশাসক খুরশিদও বলেন, ‘‘বনভাসি এলাকায় পৌঁছে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজ চলছে। ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজও জারি থাকছে। জল কমলে বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’