—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোট নিঃসন্দেহে সিপিএমের কাছে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার লড়াই। পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরের তুলনায় দক্ষিণে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি তারা। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তাই এবার নিচুতলা থেকে কর্মিসভার উপরে জোর দিচ্ছে সিপিএম। নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরের বিষয়গুলিকেও প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্ব পাচ্ছে মানুষের প্রাথমিক চাহিদাও।
গত কয়েকটি ভোটে সিপিএম পরপর পিছিয়ে গিয়েছে। প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উত্থান হয়েছে বিজেপির। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটেও বাম-কংগ্রেস জোটের চারজন বিধায়ক ছিলেন জেলায়। এর মধ্যে নদিয়ার দক্ষিণ প্রান্ত থেকেই কংগ্রেসের দুজন এবং সিপিএমের একজন জিতেছিলেন। লোকসভা ভোটে সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। বিধানসভা ভোটেও তাই। আবার শান্তিপুরের উপনির্বাচনে সিপিএম বেশ কিছুটা উঠে এসেছিল। পুরভোটে তাহেরপুরের মতো জায়গায় পুরবোর্ড দখল করেছিল। জেলায় সিপিএমের সাফল্য বলতে এটাই। তবে পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণে সিপিএম সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি। তুলনামূলকভাবে উত্তরে সিপিএম অনেকটাই বেগ দিয়েছে শাসক তৃণমূলকে। যেখানে মনে হয়েছিল তাহেরপুরের জয় বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে সিপিএমের সংগঠনে সেখানে নদিয়ার দক্ষিণ থেকে আরও ভাল ফলের প্রত্যাশা ছিল। তা যদিও পূরণ হয়নি। উত্তরের ফল সেখানে দক্ষিণের থেকে তুলনামূলকভাবে ভাল। এবার রানাঘাট লোকসভা আসনে তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ের মধ্যেই সিপিএম নিজের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। নিচুতলা থেকে বুথ এবং বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা শুরু হয়েছে তাদের। আগে থেকেই সমাজ মাধ্যমে প্রচারের জন্য দলের আই-টি বিভাগকেও ঢেলে সাজিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তারা।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি এখানে স্থানীয় স্তরের বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রচারে মানুষের প্রাথমিক চাহিদা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো বিষয়কে তুলে ধরছেন দলের নেতা-কর্মীরা। মূল্যবৃদ্ধি, কর্ম সংস্থানের মতো বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই দুই ক্ষেত্রেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করছে সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, "নিচুতলা থেকে আমাদের কর্মিসভাগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। মানুষের প্রাথমিক চাহিদা পূরণে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার দুজনেই ব্যর্থ। আর মানুষের অধিকার আদায়েই আমাদের লড়াই। সেই বিষয়গুলিই তুলে ধরছি আমরা।"