Talibpur

এক ছাদের নীচে দু’ধরনের চিকিৎসা

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারস্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ছিল না। এক জন ফার্মাসিস্ট আর এক নার্সই স্বাস্থ্যকেন্দ্র সামলাতেন।

Advertisement

কৌশিক সাহা

তালিবপুর শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৫:৫১
Share:

সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

মাস চারেক আগেও স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলত একজন মাত্র হোমিয়োপ্যাথ চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেহারাটা আমূল বদলে যায়। সেই সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপর থেকে ওই দুই চিকিৎসকই ভরতপুর ২ ব্লকের তালিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সামলাচ্ছেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ছিল না। এক জন ফার্মাসিস্ট আর এক নার্সই স্বাস্থ্যকেন্দ্র সামলাতেন। হাসপাতাল ভবনটিও ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হত না। দিনে দিনে সেটি ভুতুড়ে বাড়ির চেহারা নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য আন্দোলন করতে শুরু করলে কিছুটা কাজ হয়। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগী হয়ে হাসপাতাল ভবন সংস্কার করে। রঙের পোঁচ পড়ে, হাসপাতাল চত্বরের আগাছাগুলিও পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবা যেমন বেহাল ছিল তেমনই রয়ে যায়। তবে এখন সেই ভোগান্তি দূর হয়েছে তাঁদের। তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তালিবপুর, পূর্বগ্রাম, স্বরমস্তিপুরের মতো প্রায় দশটি গ্রাম রয়েছে। হাসপাতালে এখন নিয়মিত প্রায় দু’শো রোগী হাসপাতালে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তমালচন্দ্র সিংহ ও মানোয়ার শেখরা বলেন, “ভূশণ্ডি গ্রামে এক বৃদ্ধের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের সাহস জুগিয়েছেন প্রতিদিন।’’ ভরতপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আজহারুদ্দিন বলেন, “প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিষেবা আরও উন্নত করার চেষ্টায় আছি। হাসপাতালগুলিতে নিয়মিত চিকিৎসক থাকায় মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement