Coronavirus

উৎসবের মরসুমে নতুন দিশার সন্ধানে মিষ্টির ব্যবসা

কে না জানে বাঙালি মিষ্টি ছাড়া অচল। করোনা সংক্রমণ না ছড়ানোর জন্য প্রশাসনের বাঁশের বেড়া যতই ঘিরে রাখুক কন্টেনমেন্ট জ়োন তবু তার ফাঁক গলে কেউ না কেউ বেরোবেই মিষ্টির দোকান খুঁজতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৭:১৪
Share:

রাখির মুখে নতুন মিষ্টি কিনতে ভিড় বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

করোনা আবহেও দিব্বি বিকোচ্ছে হরেক রকম রাখি। রাখি উৎসবের দিন দুয়েক আগে থেকেই কাদাই চত্বরে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে দিন সাতেক আগের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। এখানেই বিক্রি হচ্ছে সন্দেশ রাখি, কেক রাখির মত বেশ কিছু রাখি। এদের কোনটার উপর লেখা আছে ‘ভাই’, কোনটার উপর লেখা আছে ‘বোন’। আর তাতেই মজেছে ভাই বোনেরা। তবে পার্থক্য একটাই এগুলো সবই মিষ্টি। এদের কোনটির গোলাপ ফ্লেভার, কোনওটা বা কেশর ফ্লেভার। এমনকি রাখির দড়িও মিষ্টি দিয়েই বানানো হয়েছে।

Advertisement

লকডাউনের জন্য অন্য নানা শিল্পের সঙ্গে মিষ্টির ব্যবসাও মার খেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি ও বহরমপুর শাখার সম্পাদক সাধন ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে আমাদের কলকাতা বা পাশের কোনও রাজ্যের উপরে কাঁচামালের জন্য নির্ভর করতে হয়। কিন্তু মিষ্টির জন্য ছানা আমরা স্থানীয় ভাবেই পাই। সমস্যা হল, মানুষের হাতে টাকা কম, তার উপরে টানা লকডাউনে দোকানও বন্ধ ছিল। তাই লোকসান অনেক হয়েছে। এখন রাখির মরসুমে আমরা নানা রকম মিষ্টি করায় একাংশ শহরবাসীকে দোকানমুখী করা গিয়েছে। এই নতুন ছেলেরাই মিষ্টি শিল্পে নতুন দিশা দেখাবে।”

কে না জানে বাঙালি মিষ্টি ছাড়া অচল। করোনা সংক্রমণ না ছড়ানোর জন্য প্রশাসনের বাঁশের বেড়া যতই ঘিরে রাখুক কন্টেনমেন্ট জ়োন তবু তার ফাঁক গলে কেউ না কেউ বেরোবেই মিষ্টির দোকান খুঁজতে। সুগারের মাপকাঠিতে সুগার যতই উঠুক নামুক না কেন বাহারী মিষ্টির সামনে তখন সবই স্বাভাবিক। আর দোকানদারও মুচকি হাসেন সেসব দেখেই।

Advertisement

আনলক পর্বের শুরুতে অন্যান্য দোকানে মানুষের ভিড় সে ভাবে সন্ধের পর না থাকলেও মুদি আর মিষ্টির দোকানের ভিড় নজর কেড়েছিল বহরমপুরের শহরবাসীর। বহরমপুর শহরের কাদাইয়ের এক মিষ্টির দোকানের ব্যবসায়ী যুবক সুমন কল্যাণ ঘোষের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি সেই সব। ভিন রাজ্য থেকে ডেসার্টের উপর ডিপ্লোমা করে এসেছেন সুমন। তারপর থেকেই শহরবাসীকে বছরের নানান সময় হরেক রকম মিষ্টি উপহার দিচ্ছেন সুমন। করোনা আবহে বদলে যাওয়া চারপাশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে মিষ্টিতেও বদল এনেছেন সুমন। সুমনের নিজের কথায়, “ঘরবন্দি মানুষজন খুঁজে চলেছেন দিন কাটানোর ভিন্ন রসদ। নিজেরাই পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন নিয়মিত। একঘেয়ে মিষ্টির স্বাদেও বদল আনলে একটু অন্যরকম তো লাগবেই।” কিছুদিন আগেই তৈরি করেছিলেন ইমিউনিটি মিষ্টি আর এবার রাখি পুর্ণিমা উপলক্ষে সুমন তৈরি করেছেন এই রাখি মিষ্টি। ‘ভাইবোনের বন্ধন হোক মিষ্টি’ ট্যাগ লাইনে সে মিষ্টি বিকোচ্ছেও ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement