বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতকে দিয়ে জঙ্গিপুরকে চিনত দেশের মানুষ। এখন মানুষ জঙ্গিপুরকে চেনেন তৃণমূলের নেতাদের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা খবরের কাগজে পড়ে। বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জ সদরঘাটে এই ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এ দিন দুপুরে ম্যাকেঞ্জি মোড়ের দলীয় অফিস থেকে দলীয় কয়েকশো কর্মীকে নিয়ে মিছিলে হাঁটেন সুকান্ত। বাসস্ট্যান্ড, ফুলতলা হয়ে যান সদরঘাটে। সেখানেই জঙ্গিপুর পুরসভার মুক্তমঞ্চে প্রকাশ্য সভায় ভাষণ দেন তিনি।
তিনি বলেন, “জঙ্গিপুরের মাটি পবিত্র মাটি। সেখানে দাঁড়িয়ে সভা করছি আমরা। জঙ্গিপুরকে চিনতাম দাদাঠাকুরের সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে। দাদাঠাকুরের জঙ্গিপুরে এখন সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। এখন জঙ্গিপুরকে চিনতে হয় বোমা বিস্ফোরণ দিয়ে। কাগজে দেখতে পাই জঙ্গিপুরে এক নেতা আর এক নেতাকে বোমা মারছেন। তার পা খোঁড়া হয়ে যাচ্ছে। আর এক তৃণমূল নেতা অন্য তৃণমূল নেতাকে মারার চেষ্টা করছেন। বাংলায় এই অরাজকতা চলছে। দাদাঠাকুরের দেশকে আজ চিনতে হয় বিড়ির ব্যবসাদারদের জন্য, যারা সাংসদ, বিধায়ক হয়ে বসে আছেন।”
সুকান্ত বলেন, “টাকা দিয়ে যাঁরা চাকরি নিয়েছিলেন তাঁরা জেনে রাখুন তাদের চাকরি হবে না। বরং ১৫-২০ লক্ষ টাকা যা ঘুষ দিয়েছেন তা ফেরত পেতে তৃণমূল নেতার নামটা বলে দিন। কথা দিচ্ছি, সেই তৃণমূল নেতার গলায় হাত ঢুকিয়ে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দেবে বিজেপি।”
জঙ্গিপুরের তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘এই সব মিথ্যে অভিযোগ তুলে আসর গরম করবেন না। দলের নেতাদের হেয় করতে চাইছেন বিজেপি নেতা।’’
একদা বিজেপি-র শোভন ও বৈশাখীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নে দেখা সাক্ষাত সুকান্তবাবুর মতে, “এটা তৃণমূলের ব্যাপার। রত্নাদেবীর কী হবে, শোভন বা বৈশাখী কোথায় যাবেন সেটা তাঁরাই জানেন। তাদের মধ্যে চুলোচুলি হবে না মারামারি হবে সেটা তাঁরাই ঠিক করবেন।”
জঙ্গিপুরে বহু দিন পর বিজেপি এ ধরণের প্রকাশ্য সভা করল। অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা ভিড়ও দেখা যায় বিজেপির সভায়। তবে এদিনের সভায় স্থানীয় নেতারা সকলেই থাকলেও ছিলেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাফুজা খাতুন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।