Sukanta Majumdar

জেএনএমে সুকান্তও, ভিড়ে গোলযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে কল্যাণীর মণ্ডল-২ যুব মোর্চার অফিস সম্পাদক, উত্তর চাঁদামারির মিহির বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল এক কলেজ ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:২০
Share:

জেএনএমে সুকান্ত মজুমদার। শনিবার কল্যাণীতে। ছবি: অমিত মণ্ডল।

বিবাদের জেরে হামলায় জখম বিজেপির যুবনেতা মিহির দাসকে আগেই এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুর, ইন্দ্রনীল খাঁয়েরা। শনিবার দুপুরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এলেন এবং শুভেন্দুর মতই অভিযোগের আঙুল তুললেন তৃণমূলের দিকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আরও কয়েকটি ঘটনার মতো পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রং দিতে চাইছে বিজেপি।

Advertisement

এ দিকে, বিজেপি নেতাকর্মীদের অবিরত আনাগোনায় জেএনএম হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ শিকেয় উঠেছে। রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশও ক্ষুব্ধ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে কল্যাণীর মণ্ডল-২ যুব মোর্চার অফিস সম্পাদক, উত্তর চাঁদামারির মিহির বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল এক কলেজ ছাত্র। মিহির মারাত্মক জখম হন। পরে ওই ছাত্র এবং তার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া দাদাও গণপিটুনি খেয়ে জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি হয়। গলায় গভীর ক্ষত নিয়ে মিহির সিসিউ-তে ভর্তি আছেন। এখনও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র আরমান শেখের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তার দাদা আরবাজের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। শুক্রবার রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সুকান্ত ঢোকার আগে থেকেই হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি ও জরুরি বিভাগের সামনে, বাইরে রোগীদের বসার জায়গায় বিজেপি কর্মীদের জমায়েত ছিল। সেই সঙ্গে পুলিশ মোতায়েন। সুকান্ত হাসপাতালে ঢোকা-বেরনোর সময় সামনের ফটক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়।যখন সিসিইউ-তে তিনি যখন মিহিরকে দেখতে যান, সেখানেও ভিড়। হাসপাতালের কর্মী ও আধিকারিকদের একাংশের আক্ষেপ, এই জমায়েতের ফলে তাঁদের সমস্যায় মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অন্য রোগীরাও সমস্যায় পড়ছেন।

তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “পরিবেশ বিঘ্নিত করাটাই বিজেপির একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। সে হাসপাতাল হোক বা থানা।” তবে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি, “রাজ্য সভাপতি বা মন্ত্রী এলে কর্মীদের একটা আবেগ কাজ করে। এই রকম ভিড় হাসপাতালে আর হবে না।”

এই ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক অশান্তিই মূল কারণ বলে উঠে এসেছে। দুই পরিবারের তরফেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশীষের দাবি, “এটা পারিবারিক বিষয়, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সেটা নিয়ে বিজেপি জলঘোলা করে পরিবেশকে উত্তপ্ত করতে চাইছে।”

সুকান্ত অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, “আমরা রাজনীতির রং চড়াতে চাই না। কিন্তু বিজেপি কর্মী হলেই তাঁদের উপর হামলা হচ্ছে। পারিবারিক ঘটনাতেও তো রাজনীতি ঢুকে যাচ্ছে। তারা তো তৃণমূলে আশ্রয় নিচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement