পঞ্চম: শুভ্র দত্ত। নিজস্ব চিত্র।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৮.৪২ শতাংশ পেয়ে রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম হয়েছে শুভ্র দত্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। একশো পেয়েছে তিনটি বিষয়ে। অঙ্ক, ভূগোল আর ভৌত বিজ্ঞানে। জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৫, ইংরাজিতে ৯৮ আর বাংলায় ৯৭ পেয়েছে। শুভ্র এতটা নম্বর পাবে আশা করেনি। তার কথায়, “৬৮০ বা তার কাছাকাছি নম্বর পাব ভেবেছিলাম।”
করোনার সময় স্কুলের অনলাইনের পড়াশোনা আর সাত জন গৃহশিক্ষকের কাছে অনলাইনে পড়াশোনা তাঁকে অনেক সাহায্য করেছে। তবে সেই পড়ায় প্রাণ কম ছিল বলে জানায় সে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য অনলাইনের তুলনায় নিজে পড়ে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। শুভ্র বলে, “যদি স্কুল খোলা থাকতো তাহলে এত কসরত করতে হত না। অনেক আরামেই পড়াশোনা করা যেত।” ২০১৯ এর পর মাঝের এক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরেও মাধ্যমিক হবে কিনা তা নিয়ে দোলচল ছিল। শুভ্র বলে, “আমাদের পরীক্ষা যেন হয় সেই প্রার্থনা করতাম।”
ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাওয়া শুভ্রের নেশা গিটার বাজানো। মা মৌমিতা দত্ত বলেন “মাঝে মধ্যে দাদুর সঙ্গে দাবা খেলতে পছন্দ করে ছেলে।”
আদতে কান্দি মহকুমার নগরের বাসিন্দা শুভ্ররা। করোনা শুধু যে তার পড়াশোনায় থাবা বসিয়েছিল বিষয়টি তেমন নয়। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন একেবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন চলাকালীন তাঁর বাবা দীনবন্ধু দত্তকে কেড়ে নেয় করোনা। বাড়ির সকলেই সেই সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু করোনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি বাবার। বাবার কথা রাখাই তার আগামীদিনের লক্ষ্য বলে জানায় সে। তাঁর চাকরির সূত্রেই শুভ্রদের বহরমপুরে আসা। নগর থেকে এসে আইসিআই স্কুলেরই প্রাথমিক বিভাগে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল সে। সে বার বৃত্তিও পেয়েছিল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।