শিক্ষকদের টানা আন্দোলনের জেরে আপাতত পঠনপাঠনে ছেদ পড়েছে কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে। দিনের পর দিন পড়াশোনা না হওয়ায় বিরক্ত পড়ুয়াদের একাংশও।
টানা পাঁচ দিন ধরে কলেজের চত্বরে সতরঞ্চি পেতে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষকেরা। তাঁদের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমাদের বাঁচান দিদি।’ শিক্ষকদের সেই আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে পড়ুয়াদের একাংশেরও। সোমবারও কয়েক জন পড়ুয়াকে শিক্ষকদের পাশে বসে প্ল্যাকার্ড লিখতে দেখা গিয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ প্রায়ই তাঁদের সঙ্গে দুব্যর্বহার করেন। অশালীন কথাবার্তা বলেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগীতা ও হয়রানির অভিযোগও এনেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সূর্যেন্দু চক্রবর্তী বলেন, “অধ্যক্ষের কাছে অপমানিত হতে হতে সকলে ভেঙে পড়েছি।’’
তাঁদের দাবি, ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতিতে না পড়তে হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু তাই বলে পঠনপাঠনের বন্ধ রেখে দিনের পর দিন এ ভাবে আন্দোলন করা কি সমীচিন?
আন্দোলনকারীদের যুক্তি, প্রথম দিন থেকেই ক্লাস না হওয়ার জন্য তাঁরা পড়ুয়াদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন করা ছাড়া তাঁদের কাছে অন্য কোনও পথ খোলা নেই। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানান, বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা যা নির্দেশ দেবে সেই মতোই পদক্ষেপ করা হবে।
অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তদন্ত হোক। কিন্তু ক্লাসটা হোক।’’