নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবু এখনও হাতে বই পেল না লালগোলার শেখালিপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা। ৫৩৩ জন ছাত্রছাত্রী একনও অঙ্ক বই পায়নি। বাংলা বই পায়নি ১৩৩ জন। ইংরেজি বই পায়নি নবম শ্রেণির ২১৫ জন পড়ুয়া।
তালিকাটা এখানেই শেষ নয়। লালগোলা এমএন অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণির ৪০০ জন ছাত্রের মধ্যে অর্ধেক জনই বংলা, ইংরেজি, অঙ্কের একটিও পায়নি। ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রদের একজনও এখনও ইংরাজি ও অঙ্ক বই পায়নি।
বই পায়নি জেলার অধিকাংশ মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণি ও নবম শ্রেণি ছাত্রছাত্রীরাও। ফলে সেই সব বিষয়ের ক্লাসই শুরু করা যায়নি অনেক স্কুলে। কোন বই কতটি পাওয়া যায়নি, সেই পরিসংখ্যান দিয়ে মহকুমার সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে বেশ কিছু দিন আগে ‘মেল’ পাঠিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। তারপরেও কবে সেই সব বই পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত নয় কেউই। তাই পড়ুয়াদের কেউ কেউ ‘জেরক্স’ করে পড়াশোনা করছে।
বই সমস্যার কথা জানেনই না মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘মহকুমা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাজে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ লালবাগ মহকুমার ভারপ্রাপ্ত সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক পার্থ বিশ্বাস বলেন, ‘‘কোথাও হয়তো বেশি বই চলে গিয়েছে। তাই কোথাও কম পড়েছে। আগামী সোমবার থেকে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা। তাই নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরে বই সঙ্কটের বিষয়টি দেখব।’’ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শেখ মহম্মদ ফুরকান অবশ্য বই- এল যোগান কমের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার প্রেস থেকে ছাপিয়ে জেলায় বই আসতে দেরি হচ্ছে। তবে কিছু দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’