paddy buying

ধান কেনা শুরু বোরো মরসুমে

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার ধান-সহ একাধিক ফসলের বর্ধিত সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে। তা কার্যকর হয় ওই বছরের অক্টোবর মাস থেকে।

Advertisement

সন্দীপ পাল

নদিয়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৪১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরে সরকার বোরো মরশুমে নূন্যতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে। মূলত খাদ্যসাথী প্রকল্পে উপভোক্তাদের চাল দিতে ধান কেনা শুরু হয়েছে বলে জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দফতরের এক কর্তা জানান, জেলার সব মান্ডি, ভ্রাম্যমাণ মান্ডি, মহিলা পরিচালিত সঙ্ঘ সমবায় ও কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি মিলে চাষিদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে।

Advertisement

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার ধান-সহ একাধিক ফসলের বর্ধিত সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে। তা কার্যকর হয় ওই বছরের অক্টোবর মাস থেকে। এ বছর রাজ্য সরকার তার অনেক আগে বোরো মরসুমেই নুনত্যম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে। ফলে চাষিরা প্রতি কুইন্টাল ধান ২১৮৩ টাকায় সমবায়ে বিক্রি করতে পারছেন। আর মান্ডিতে কুইন্টাল প্রতি ধানের দাম মিলছে ২২০৪ টাকা।

জেলা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ ধাড়া জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক বছর আগে এক জন চাষি সর্বাধিক ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারতেন। মাঝে বেশ কয়েক বছর ধরে তা কমে ৪৫ কুইন্টালে নেমে আসে। চলতি বোরো মরশুমে সরকার পুনরায় সর্বোচ্চ সীমা ৯০ কুইন্টাল করেছে। এর ফলে ধান বিক্রি নিয়ে সাধারণ চাষিদের আর ক্ষোভ থাকবে না।

Advertisement

নদিয়া জেলা রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মহাদেব সাহা বলেন, ‘‘চাষিদের জন্য ভাল উদ্যোগ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই উদ্যোগকে সফল করতে দু’দিন আগে সব মিল মালিককে ডেকে বৈঠক করেছি। চাষিদের সুবিধা যাতে ফড়েরা ভোগ করতে না পারে তার জন্য মিল মালিকেরা সতর্ক আছেন।’’

কালীগঞ্জের ধান চাষি অভিজিৎ সরকার বলেন, ‘‘ধান চাষ করে সংসার চালাই। এর উপর ভিত্তি করেই ছেলের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সব কিছু চলে। সরকার মাঝ পথে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর জন্য আমাদের উপকার হবে। ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে ৪০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement