বর্ষা দাস। নিজস্ব চিত্র।
নিজের বিয়ে নিজে ভেস্তে দিয়েই থামেনি মেয়ে। এলাকার বেশ কয়েক জন নাবালিকার বিয়েও রুখে দিয়েছিল ‘কন্যাশ্রী যোদ্ধা’ রেজিনগরের বর্ষা দাস।
বুধবার কন্যাশ্রী দিবসে সেই তাঁকে বিশেষ সম্মাননা জানালো রাজ্য সরকার। এ দিন কলকাতার নজরুল মঞ্চে তাঁর হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন নারী ও শিশু কল্যান দফতরের প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা।
২০১৭ সালের ঘটনা। সেই সময়ে রেজিনগরের রামপাড়া-ধাওড়া পাড়ায় তখন নাবালিকার বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। বর্ষা তখন রামপাড়া মাঙ্গনপাড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অভাবের সংসারে বাড়ি থেকে বর্ষার বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। প্রতিবাদ জানালে পরিবারের লোকজন ঘরবন্দি করে রাখে তাকে। তখন সহপাঠীদের মাধ্যমে পুলিশ ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনদের কাছে খবর পাঠায়। ওই খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার বিয়ে ভেস্তে দিয়েছিল।
সেই শুরু। তার পরে সে নিজের উদ্যোগে সাতটি বিয়ে বন্ধ করেছে। ২০১৮ সালে রেজিনগর থানা বর্ষাকে পুরস্কৃতও করে। বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও সমীররঞ্জন মান্না বলেন, ‘‘বর্ষার নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। এ দিন রাজ্য সরকার সম্মান জানিয়েছে।’’