শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ফাইল চিত্র ।
দেখতে দেখতে ২৪ ঘণ্টা পার হতে যায়। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে প্রায় দু’বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল বিধায়কের কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের অনুমান এই ডায়েরিতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত লেনদেনের হিসাব পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকে জীবনকৃষ্ণের দুই আত্মীয়ের বাড়িতেও নতুন করে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। পুলিশের যে ভ্যান দু’টি শুক্রবার রাতে চলে গিয়েছিল, তার মধ্যে একটি শনিবার সকালে আবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির বাইরে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে আরও কড়া হয়েছে নিরাপত্তা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ।
জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি চলছে তাঁর বাড়ির পিছনের পুকুরে ছুড়ে দেওয়া মোবাইলের খোঁজ। বিগত সাড়ে ১০ ঘণ্টা ধরে সেই খোঁজ চলছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো না থাকায় মোবাইল খোঁজার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। শনিবার আলো ফুটতেই আবার শুরু হয় তল্লাশি। মোবাইল খুঁজে বার করতে আনা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। তল্লাশিতে যোগ দিয়েছেন আরও এক দল সিবিআই আধিকারিক।
মোবাইলের খোঁজে পুকুরের জল ছেঁচে তুলে দেওয়া হয়েছিল রাতেই। শনিবার সকাল থেকে কাদার মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের ফোন দু’টি খুঁজে বার করতে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণের বড়ঞার বাড়িতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তারই মধ্যে বিকেলের দিকে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে গিয়ে বাড়ির পিছনের পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তার পর থেকেই মোবাইল দু’টির খোঁজ চলছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বিধায়কের অফিস-সহ একাধিক জায়গাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।