মোবাইল দু’টির খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। নিজস্ব চিত্র।
বড়ঞার বাড়িতে এসে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয়েছিল সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ। ১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়ে রাত ১১টার পরেও তা চলছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তারই মধ্যে অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বিকেলের দিকে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে আচমকাই বাড়ির পিছনের পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। ঘটনায় হকচকিয়ে যান তদন্তকারীরা। এর পর পুকুরের সমস্ত জল ছেঁচে ফেলে মোবাইল দু’টির খোঁজ চালান তাঁরা। গভীর রাত পর্যন্ত যদিও সেই মোবাইল উদ্ধার হয়নি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বিধায়কের অফিস-সহ একাধিক জায়গা খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ অসুস্থতার কথা বলে শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেন জীবনকৃষ্ণ। এর পর বাড়ির পিছনের দিকে যাওয়ার নাম করে পাঁচিল টপকে আচমকাই নিজের দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি।
সিবিআই সূ্ত্রের দাবি, সকাল থেকে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করলেও বেলা গড়াতেই তদন্তকারীদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন।
জীবনকৃষ্ণের মোবাইল উদ্ধারে ওই পুকুরে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় পুকুরের সমস্ত জল ছেঁচে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও বাড়ির পিছনের শৌচাগার ও বাগানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পুকুরের জল ছেঁচে ফেলতে আনা হয়েছে কয়েকটি পাম্প। তবে মোবাইলের সন্ধান মেলেনি।