অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর পরাজয়ের পর থেকে অধীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। অধীর কী করেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দলের অন্দরে এবং দলের বাইরে লোকজন। দিন সাতেক আগেও এক বার গুজব ছড়িয়েছিল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। শুক্রবার দুপুরে যখন কলকাতায় মৌলালি যুব কেন্দ্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত সভা চলছিল ঠিক তখনই রটে যায় অধীর পদত্যাগ করেছেন।
দু’একটি সংবাদ মাধ্যমে সে খবর প্রচারিত হওয়ায় দিনভর সে দিকে নজর ছিল বহরমপুর তথা মুর্শিদাবাদবাসীর। অধীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে সে দিকে নজর ছিল বহরমপুরবাসীর। শহরের মোড়ের মাথায়, চা দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় তা নিয়ে আলোচনাও চলছিল। তবে এ দিন বিষয়টি জানতে পেরে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় সংবাদ মাধ্যমকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম কিছু ভুল খবর পরিবেশন করছেন, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আজকের বর্ধিত সভায় এর কোনও সত্যতা নেই। পরে অধীর চৌধুরী একটি চেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রয়েছেন। তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেননি।
প্রদেশ কংগ্রেসের কমিটির এই মূহূর্তে সভাপতি কে, সেই প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার বিকেলে কলকাতায় অধীর চৌধুরী ওই চ্যানেলকে বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে সভাপতি আমি। আমি তো প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধিত বৈঠক ডাকলাম। আজ আমি প্রদেশ সভাপতি হিসেবে আজকে বৈঠক করেছি।’’ আপনি কি সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অধীর বলেন, ‘‘না। আজকে তো সবার সামনে আলোচনা হয়েছে। মির সাহেব আছেন। তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করুন।’’ আপনি এ দিন অস্থায়ী প্রদেশ সভাপতির কথা বলছিলেন কেন? অধীর বলেন, ‘‘যে দিন থেকে মল্লিকার্জুন খড়্গে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন, সে দিন থেকে সারা ভারতবর্ষের সব রাজ্যের সব সভাপতি অস্থায়ী। কংগ্রেসের এটা প্রোটোকল, কংগ্রেসের সংবিধান এটা। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে রাজ্যে রাজ্যে তিনি কমিটি করে দেবেন। সর্বভারতীয় কংগ্রেসে নতুন সভাপতি আসার পরে সব রাজ্য সভাপতিরা অস্থায়ী হয়ে যান।’’