প্রতীকী ছবি।
হোম আইসোলেশন ও সেফ হোমে থাকা মানুষদের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার দিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করেছে নদিয়া জেলা প্রশাসন। এই পোর্টালে প্রতিদিন সমস্ত তথ্য ‘আপডেট’ করা হবে। জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা কম্পিউটার থেকে প্রত্যেক রোগীর শারীরিক অবস্থার খুঁটিনাটি জানতে পারবেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপকরতে পারবেন।
নদিয়া জেলায় ৬টি সেফ হোমে এখনও পর্যন্ত ৩৮৬ জন ভর্তি হয়েছেন। রবিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন ১২৯ জন। আগামী দিনে হালকা উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বাড়বে আশঙ্কা করে প্রতিটি ব্লকে একটা সেফ হোম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এখনও পর্যন্ত জেলায় ৯৭৮ জন উপসর্গহীন রোগী বাড়িতে চিকিৎসা করিয়েছেন।
অনেক সময় বাড়িতে থাকা বা সেফ হোমে থাকা রোগীদের অবস্থা খারাপ হতে পারে। কখন কোন রোগীর শারীরিক অবস্থা কোন পর্যায়ে চলে যায় কিছু বলা সম্ভব নয় করোনার ক্ষেত্রে। ফলে প্রতিটি সংক্রমিতের উপরে নজরদারি চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তার। যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন তাঁদের অবস্থার খোঁজ নেন আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁরা এই সম্পর্কিত তথ্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে প্রতিদিন রিপোর্ট করছেন। আধিকারিকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত আইডি-পার্সওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রতিদিন তাঁদের ব্লকের প্রত্যেক সংক্রমিতের শারীরিক অবস্থা সেই পোর্টালে আপলোড করে দিচ্ছেন।
সেফ হোমে যে সংক্রমিতেরা থাকবেন বা থাকছেন তাঁদেরও শারীরিক অবস্থা পোর্টালো তোলা হচ্ছে। সেখান থেকে জেলাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে ব্লক ও মহকুমা স্তরের কর্তারা যে কোনও সময় সংক্রমিতের শারীরিক অবস্থা কী রকম তা দেখে নিতে পারছেন। কখনও প্রয়োজন মনে করলে তাঁরা বাড়ি বা সেফ হোম থেকে কোনও রোগীকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারবেন।