বৈঠকে সিদ্দিকুল্লা। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক সভাপতি খলিলুর রহমান এবং ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডলের অনুপস্থিতির কারণে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সঙ্গে এলাকার নেতাদের বৈঠক দিন দশেক পিছিয়ে গেল। তবে খলিলুর এ দিন বলেন, “ইদের আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই সমস্ত ব্লক ও বুথ স্তর সহ জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে। ইতিমধ্যেই কমিটির জন্য নাম দেওয়া হয়েছে রাজ্য কমিটিকে।”ফলে প্রার্থীদের অধিকাংশই হবে নতুন মুখ। প্রতিটি পঞ্চায়েতে বিশেষ নজরদারি কমিটিও করবে দল।
কিন্তু বহরমপুরের এসে সিদ্দিকুলা যখন সাগরদিঘিকে ফের দলকে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখনই সাগরদিঘিতে তৃনমূলের প্রার্থীর লেখা বিধানসভার বহু দেওয়াল দখল করে চুনের প্রলেপ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কংগ্রেস, এলাকার সমর্থকদের উদ্যোগেই।এক তৃণমূল নেতার কথায়, “কোথাও তৃণমূলের হয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে না। কারণ সিদ্দিকুল্লার বৈঠকের পর দলের কমিটি কী হয়, পঞ্চায়েতে প্রার্থী কারা হবেন, সেটা না দেখে পঞ্চায়েতে ভোট করতে আগ্রহ নেই কর্মীদের মধ্যে। সাগরদিঘির সাংগঠনিক অবস্থা দিনকে দিন আরও খারাপ হচ্ছে।”
এর মধ্যেই রবিবার ইফতার পার্টির আয়োজন করেছেন সুব্রত সাহার ছেলে সপ্তর্ষি বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি বদরুদ্দোজা মিঞা। তিনি বলেন, “প্রতি বছরই সুব্রতদা ইফতার করাতেন দলের লোকজনকে। বাবার স্মরণে এবারে ছেলে তা করতে চেয়েছেন সাগরদিঘি হাইস্কুলে।” এই ঘটনা সাগরদিঘির রাজনীতিকে নতুন মোড় দেবে। পরবর্তীতে সাগরদিঘিতে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নিজেদের ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা বলেই একে মনে করা হচ্ছে।
তবে নতুন ভাবে সংগঠন গড়ে সাগরদিঘিকে ফের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে গেলেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলবার সাগরদিঘির কয়েক জন নেতা তার সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন সাগরদিঘির জেলা পরিষদের দুই সদস্যও। জঙ্গিপুরে আলাদা ভাবে বৈঠক করবেন আগামী দিন দশেকের মধ্যেই।
সিদ্দিকুল্লা সাগরদিঘির প্রতিনিধি দলকে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, বুথ ও ব্লক স্তরের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি সাগরদিঘিতে গিয়ে। পরে জঙ্গিপুরে গিয়ে জেলা কমিটি, বিধায়ক, জেলাপরিষদ সদস্য ও দুই পুরপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকের পরই কলকাতা রাজ্য কমিটি ঘোষণা করবেন সাগরদিঘি ও লালগোলার ব্লক কমিটি। একই সঙ্গে জেলা কমিটিও ঘোষণা করা হবে। এক সঙ্গেই বহরমপুরের পাশাপাশি জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন এমনটাই প্রথমে ঠিক হয়। কিন্তু জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান দিল্লিতে লোকসভায় এবং চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল বাইরে থাকায় সে বৈঠক হয়নি।