শম্ভুর নতুন বাহন।
লম্বা লোহার রিং। তাকে আঁকড়ে ঝুলছে সস্তার—বাদাম, চানাচুর, ভাজা চিঁড়ে, হরেক প্যাকেট দু’টাকা।
জৈষ্ঠ্যের উপচে পড়া রোদ্দুর, কনকনে শীতের দুপুর, হোক না বর্ষার একটা আস্ত ভিজে দুপুর। ছেলেটা বলছে, ‘‘না বেরোলে চাল কিনব কী করে। মা তো বেরতো পারে না।’’
শম্ভু সিংহ। কৃষ্ণনগরের কাছে সন্ধ্যামাঠপাড়ায় ফিরি করে বছর দশেকের ছেলেটা। বাবা নেই। মা যক্ষ্মায় কাবু। ছোট তিনটে ভাই-বোনের সংসারটা চলে ওই চিঁড়ে-বাদাম বাজার ফিরিতে।
এই ছবি প্রকাশ হতেই হইচই পড়ে যায়।
সরস্বতী পুজোর দিন শম্ভুর ছবি কাগজে বেরোতেই নড়েচড়ে বসেছিল কৃষ্ণনগরের ছোট্ট একটি সংস্থা। ১৫ হাজার টাকা দিয়ে তারাই শম্ভুকে কিনে দিয়েছে এই ঠেলা গাড়ি। বাদাম-চানাচুরের সঙ্গে এ বার সে ফিরি করবে মুড়ি, আলু কাবলিও। বোলপুরের অন্য একটি সংস্থাও শম্ভুর হাতে তুলে দিয়েছে, ৩০ কেজি চাল আর চিনি, ডিম আর তার ছোট্ট বোনের জন্য হাজার দেড়েক টাকা।
—নিজস্ব চিত্র।