—প্রতীকী ছবি
রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে দ্রুত কমছিল এসএফআই-এর সদস্য সংখ্যা। সেখানে ফের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে। আগের বছরেই তা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। এ বার সংগঠনের ৫০তম বর্ষপূর্তিতে সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এসএফআই কর্মীরা।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে এক ধাক্কায় এসএফআই-এর সদস্য সংখ্যা গোটা জেলাতেই নেমে গিয়েছিল অনেকটা। এক সময়ে জেলার যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাপট দেখিয়েছে এসএফআই, সেই সব জায়গায় তখন টিএমসিপির দাপাদাপি। রাজ্যে পালাবদলের পরে নদিয়া জেলায় এসএফআই-এর সদস্য সংখ্যা নেমে যায় ২৫ হাজারে। এর পর থেকে তা ঘোরাঘুরি করেছে ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে। ২০১৫-১৬ বর্ষে তা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। পরের বর্ষে তা দাঁড়ায় ৩৭ হাজারে। এর পরে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে তাদের সদস্য সংখ্যা। ২০১৯-২০ বর্ষে তা দাঁড়ায় ৫২ হাজারে। এ বার সংগঠনের পঞ্চাশতম বর্ষ পূর্তিতে আগের সেই হিসাব ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য এসএইআই-এর।
ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছেন কর্মী-সদস্যেরা। কিন্তু সদস্য সংখ্যায় এই বৃদ্ধি কী ভাবে এল? এসএফআই নেতৃত্বের কথায়, রাজ্যে শাসক দলের বাধায় এবং সন্ত্রাসের কারণে ক্যাম্পাসে সংগঠন বৃদ্ধিতে বাধা এসেছে। সংগঠন বৃদ্ধি করতে ক্যাম্পাস ছেড়ে নানা এলাকায় গিয়ে পড়ুয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতেও সুফল মিলছে।
এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শান্তনু সিংহ বলেন, “পরিবর্তনের পরে ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র হরণ হয়েছে। সেখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সদস্য সংগ্রহের মতো কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর পরে আমাদের তরফে স্কুল দিয়ে কলেজ ঘেরো কর্মসূচি নেওয়া হয়। যেখানে এলাকায় এলাকায় পড়ুয়া, অভিভাবকদের কাছে গিয়েছি আমরা। এতে কাজ হয়েছে।’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘পড়ুয়াদের স্বার্থে আমাদের নানা কর্মসূচিতে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এসেছে অনেকেই।”
রাজ্যে বাম জমানায় এই জেলায় এসএফআই-এর সদস্য সংখ্যা এক সময়ে পঞ্চাশ হাজার ছিল। পালাবদলের পরে তা নেমে গেলেও ফের পঞ্চাশ ছুঁয়ে আরও এগনোর লড়াই শুরু হয়েছে, এমনটাই দাবি তাদের। বছরখানেক আগেই জেলায় এসএফআই-এর সম্পাদক পদে এসেছেন এক ছাত্রী। সেই মৌপ্রিয়া রাহার কথায়, “শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের স্বার্থে আমরা রাস্তায় নেমেছি। তাঁদের সমস্যায় পাশে পেয়েছেন আমাদের। পড়ুয়ারা তাই আমাদের সংগঠনের ছাতার তলায় আসছেন।”
এই প্রসঙ্গে জেলা টিএমসিপির সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা সময়ে সংগঠনটা প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছিল। এখন কিছুটা বাড়ছে, তবে এতে উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। পড়ুয়ারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টিএমসিপি-র সঙ্গে আছেন।”