—প্রতীকী চিত্র।
এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেটিং চক্র চলছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে হানা দিয়ে ওই জায়গা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করল জঙ্গিপুর পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা। ধৃতেরা সকলেই ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা। ‘পলাতক’ তৃণমূল কিসান সেলের নেতা মোস্তাকিম শেখ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইমামনগর গ্রামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল ধৃতেরা। সোমবার সকালে সেখানে হানা দিয়ে ৯ জনকে ধরা হয়। উদ্ধার হয়েছে ৩২টি মোবাইল ফোন, পাঁচটি ল্যাপটপ, প্রচুর সিম কার্ড এবং অনলাইনে কয়েক কোটি টাকা হস্তান্তরের নথি। ধৃতদের নাম সনৎ জাঙ্গেল, ফারহাজ শেখ, ওয়াসিম শেখ, রাহুল দেওয়ানগন, দিকেশ কুমার, লালতা প্রজাপতি, রোহন অ্যান্টনি, চন্দন সোনয়ানি এবং অমিত লোটারে। মোস্তাকিম ফরাক্কায় তৃণমূলের কিসান সেলের ব্লক সভাপতি। বীরভূমের কিসান সেলেরও পর্যবেক্ষক। এ দিন অজ্ঞাত আস্তানা থেকে ওই নেতা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, মাসখানেক আগে তাঁর বাড়িটি তৈরি শেষ হয়েছে। দিন কুড়ি আগে ধৃতেরা তাঁর বাড়ি ভাড়ায় নেয়। তিনি বেটিং চক্রের কিছু জানতেন না। পুলিশ অবশ্য মোস্তাকিমকেও বেটিং চক্রে জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে। ফরাক্কার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “ধৃত ৯ জনকে সোমবার জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, মালদহ, ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকেও জুয়াড়িরা বেটিং চক্রে অংশ নিত। মাসখানেক আগে তারা ঘাঁটি গাড়ে ইমামনগরে। গ্রামবাসীদের তাদের নিয়ে সন্দেহ হয়। ধৃতেরা বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোত না। স্থানীয়দের সঙ্গে মিশতও না। বেআইনি অনলাইন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আইপিএল নিয়ে জুয়া চক্র চালাচ্ছিল তারা। কোন দল জিতবে, কোন বলে ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকাবেন, কোন বলে চার, সে সব নিয়েও বেটিং হত। অন্য দিকে, দলের এক নেতার বাড়িতে বেটিং চক্র চলা নিয়ে তৃণমূলের জঙ্গিপুর জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “পুলিশ বেআইনি কাজ হচ্ছিল বুঝে মামলা রুজু করেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এটা দলের বিষয় নয়, দল হস্তক্ষেপও করবে না।”