—প্রতীকী চিত্র।
জেলা পরিষদ গঠনের পরে শনিবার ছিল প্রথম সাধারণ সভা। আর সেই সাধারণ সভায় জেলা পরিষদের পদাধিকারীদের দিকে ধেয়ে এল একাধিক প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন শুধু বিরোধী দল নয়, তৃণমূলের সদস্যরাও করলেন।
শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সভাগৃহে সাধারণ সভা হয়েছে। সেখানে জেলা পরিষদের বিদায়ী বোর্ডের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন সব ব্লকে সমান ভাগে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, জেলা পরিষদের কাজ শুধু হরিহরপাড়া ও সুতি ব্লকে বেশি করে করলে হবে না। সব ব্লকে সমান ভাবে কাজ করতে হবে বলে দাবি জানান। একই সঙ্গে জেলা পরিষদের সম্পত্তি চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড লাগানোর পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, হরিহরপাড়া ব্লক থেকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং সুতি থেকে সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বিরোধী সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদের এলাকায় কেন উন্নয়নের কাজ হবে না।
জেলা পরিষদের অপর প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম সাধারণ সভায় জেলা পরিষদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বহরমপুর শহরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাসের পাশেই জেলা পরিষদের হাসপাতাল রয়েছে।
ওই হাসপাতাল বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে চালানো হচ্ছে। পঞ্চাননতলায় জেলা পরিষদ লাগোয়া পর্যটন হাব তৈরি করেছে জেলা পরিষদ। রুবিয়া সুলতানা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার আগে সেই পর্যটন কেন্দ্র লিজ নিয়েছেন তাঁর স্বামী। সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ মোট তিনটি কলেজ রয়েছে। সেগুলির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার দাবি তোলেন শাহনাজ। জেলা পরিষদের কংগ্রেসের সদস্য তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, ‘‘আমরা সবাই জেলা পরিষদ সদস্য। কাজের ক্ষেত্রে সকলকে সমান গুরুত্ব যাতে দেওয়া হয় সেই দাবি জানিয়েছি।’’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি এসএমএসের।
তবে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, ‘‘সব জায়গাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় সদস্যরা যা জানতে চেয়েছিলেন তা জানানো হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এ দিন সাড়ে চারশো কোটি টাকার খসড়া বাজেট পেশ করা হয়েছে।’’
বৈঠকে কী বলেছেন তা নিয়ে এ দিন পরে আর মন্তব্য করতে চাননি রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘বাইরে কিছু বলব না।’’
শাহনাজ বলেন, ‘‘এগুলি জেলা পরিষদের বড় বড় সম্পদ। তাই সেই সম্পদের বর্তমান অবস্থা কী তাই জানতে চেয়েছি সদস্য হিসেবে।’’