এভাবেই চাকদহ শহরে আবর্জনা জমে থাকে। ছবি সৌমিত্র সিকদার।
গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে চাকদহে শহরে আসতে হয়। শহরবাসীর মতো তাঁদেরও শহরের চারপাশে আবর্জনা পড়ে থাকার সাক্ষী থাকতে হয়। শহরবাসীর মতো নোংরা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ তাঁরাও।
চাকদহ পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, চাকদহ ব্লকের তাতলা-২ পঞ্চায়েতের সরমস্তপুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে শহরের আবর্জনা ফেলতে দেওয়া হয় না। অভিযোগ, সেই কারণে শহর জুড়ে আবর্জনার স্তূপ। পথচলতি মানুষজনকে নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এটাই এখন চাকদহ শহরের ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষের কথা ভেবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের জট কাটাতে পুরসভাকে বার্তা দিল তৃণমূল পরিচালিত চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতি।
বুধবার সকালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চাই চাকদহ শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুক। গ্রামের মানুষকে নানা প্রয়োজনে শহরে যাতায়াত করতে হয়। শহরের যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখে কারওরই ভাল লাগে না। আমরা এই পরিস্থিতির অবসান চাই।’’ তিনি বলেন, ‘‘কামালপুর গ্রামের মানুষ তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে শহরের আবর্জনা ফেলতে দেবেন না বলে প্রতিবাদ, আন্দোলন করেছিলেন। তারপর থেকে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে।’’ পুরসভার কাছে সভাপতির বার্তা, পুরসভার তরফে এলাকার মানুষকে এই বিষয়ে বোঝালে ভাল হয়। যে পদ্ধতিতে তারা রাস্তা দিয়ে আবর্জনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে নিয়ে যাবে তাতে মানুষের কোনও সমস্যা হবে না। পরিবেশেরও কোনও সমস্যা হবে না। এটা মানুষকে বোঝাতে পারলে বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে।
চাকদহের পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস বলেন, ‘‘আমরা কী করতে চাইছি। তাতে যে কোনও সমস্যা হবে না। সেই কথাগুলো এলাকার মানুষকে জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা কারও সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাই না। শহরের মানুষের কথা ভেবে গ্রামের মানুষকে এই বিষয়ে বোঝাতে আমাদের আপত্তি নেই।’’
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভাগুলিকে নিয়ে সভা করেছিলেন। সেখানেই নির্দেশ দেন ২০২৬ সালের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র চালু করতে হবে। চাকদহ পুরসভার উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে জমি কিনে, রাস্তা এবং শেড তৈরির পরও সেখানে আবর্জনা ফেলতে পারা যায়নি।