উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র। নিজস্ব চিত্র
ফের অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল তিন ব্যবসায়ী। ওই অস্ত্র নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার আগেই খবর পেয়ে লালগোলা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তিন অস্ত্র ব্যবসায়ী নাজিম শেখ, আজিবুর রহমান ও আনোয়ার শেখকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের সকলের বাড়ি লালগোলার নডহরি গ্রামে।
সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে বেশ কিছু দিন ধরে খবর আসছিল নলডহরির নাজিম, আজিবুর ও আনোয়ার তিন জন একযোগে অস্ত্র ব্যবসা শুরু করেছে। সেই মতো ওই তিন জনের উপরে বেশ কিছু দিন ধরে নজর রাখতে শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে লালগোলা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে ওই তিন জনে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বিক্রি করতে যাওয়ার তোড়জোড় করছে। গোপন সূত্রে পাওয়া ওই খবর অনুযায়ী লালগোলা থানার তিন জন পুলিশ সাদা পোশাকে নলডহরি থেকে পিছু নেয় ওই তিন জনের এবং বেশ কয়েক জন পুলিশ লালগোলার বাহাদুরপুর বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে আত্মগোপন করে থাকে। নলডহরি থেকে একটি ট্রেকারে করে আসে ওই তিন জন। তার পরে রাত একটা নাগাদ লালগোলা বাহাদুরপুর বাসস্ট্যান্ডে ট্রেকার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ভর্তি ব্যাগ নিয়ে নামতেই তিন জনকে ঘিরে ধরে পুলিশ। তার পর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ২টো নাইন এমএম পিস্তল, ১টা সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ এমএম পিস্তল, ৩টে রিভালবার, ৫টি পাইপগান-সহ মোট ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ও ৩২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে লালগোলা থানার পুলিশ।
একই ভাবে জিয়াগঞ্জ ও রানিতলায় ডাকাতি করতে যাওয়ার আগেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল রানিতলার পশ্চিম নাজিরচকের বাসিন্দা তাহের শেখ এবং আজিমগঞ্জের বিনপাড়ার বাসিন্দা মঙ্গল চৌধুরী। তাহের শেখকে রানিতলার দেবাইপুর বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে রানিতলা থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি মিলেছে। এ ছাড়া বেআইনি মদ-সহ আরশেদ শেখ, টিটু শেখ ও আতাব শেখ নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে রানিতলা থানার পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে ৯০ বোতল বেআইনি মদ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গল চৌধুরীকে আজিমগঞ্জের ডন বস্কো স্কুলের পিছনের রাস্তা থেকে রাত দুটো নাগাদ গ্রেফতার করেছে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার উদ্ধার করেছে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। লালবাগ মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযানে বেশ কিছু বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেআইনি মদ উদ্ধার করে লালগোলা, জিয়াগঞ্জ ও রানিতলা থানার পুলিশ। লালগোলার ঘটনায় ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজত হয়।