—নিজস্ব চিত্র।
‘স্বেচ্ছায় স্কুল ছাড়ছি, আমাদের কেউ খোঁজাখুঁজি করবে না’— নিখোঁজ হওয়া সাত আবাসিক ছাত্রীর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এমনই নোট উদ্ধার হল। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুলের ঘটনা। বুধবার সকাল থেকে সেখানকার সাত আবাসিক ছাত্রী নিখোঁজ। তাঁদের অভিভাবকদের দাবি, পুরোটাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কারসাজি। সন্তানদের পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক বলে পাল্টা দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তেঘড়ি এলাকায় একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুল থেকে কয়েক জন ছাত্রীর পরিবারকে বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের মেয়েদের খোঁজ মিলছে না। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছন অভিভাবকেরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। স্কুলে নানান ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে অভিভাবকদের দাবি, মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছে। এক ‘নিখোঁজ’ ছাত্রীর অভিভাবক সরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের মেয়েরা বাইরে জগতের কিছুই চেনে না। ভাই ওদের পক্ষে এত সাহস সঞ্চয় করে বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। ওদেরকে যে ভাবেই হোক অপহরণ করা হয়েছে। পাচারের চেষ্টা করেছে স্কুল।’’
পাল্টা স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফরমান আলি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তদন্ত চলছে। ওদের খোঁজ অতি দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’’