পিভি সিন্ধু। রিও অলিম্পিক পরবর্তী সময়ে উঠতি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের কাছে অনুপ্রেরণা। দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের তৈরি করেছিলেন দুই ছাত্রী। স্বপ্ন ছিল, আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার। কিন্তু, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতিতে মনোনীত হয়েও প্রতিযোগিতায় যেতে পারলেন না ওই দুই ছাত্রী। ওই দুই ছাত্রীর অভিযোগ তেমনই।
আগামীকাল, শুক্রবার থেকে ওড়িষার ভুবনেশ্বরে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের চারটি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৩ দিনের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের শারীর শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের প্রধান বুদ্ধদেব বসু জানান, ভুবনেশ্বরে প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোচ সুমনচন্দ্র দে কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুদীপ্তা পাল ও নদিয়ার মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী প্রীতিলতা দাসকে মনোনীত করেন।
মনোনীত করা হলেও পরবর্তীতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। যদিও তাঁরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে নিজেদের তেরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ভুবনেশ্বরে নিয়েই যাওয়া হল না। কেন এমনটা হল তার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যাও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীর শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের প্রধান সঞ্জীব মৃধা জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মলয়েন্দু সাহা ‘‘কিছু শুনতে পাচ্ছি না’’ বলে ফোন কেটে দেন। সঞ্জীব মৃধার ফোন বন্ধ সারাদিন। মেসেজ করে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলেও দু’ জনের কাছ থেকেই কোনও সাড়া মেলেনি।