ত্রিপুরায় প্রচারে আমিরুল ও তৃণমূলের অন্য নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনে তাঁর লড়াইকে সম্মান জানাল দল। তাই জয়ের পরই শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনের দায়িত্ব সঁপল তৃণমূল রাজ্য কমিটি। দায়িত্ব পেয়ে রবিবারই ত্রিপুরায় গিয়ে সিপাহি জেলার সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের ১৩টি ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। মুর্শিদাবাদ জেলায় একমাত্র তাঁকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের ২০ জন বিধায়কের মধ্যে। তবে সোনামূড়াতেই তার সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়।
দলের কাছ থেকে ভিন রাজ্যে কাজের সুযোগ পেয়ে খুশি আমিরুল বলেন, “দল দায়িত্ব দেওয়ায় আমি খুশি। ভিন রাজ্যে পুর নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। দিন পনেরো ওই এলাকায় থাকব। বাংলার পুর নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দেওয়া হবে।” বৃহস্পতিবার থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সেখানে আমিরুলের নেতৃত্বে। রাজ্যের আরও ৮ জন নেতাকে এই দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরায় বিভিন্ন পুরসভার নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে। গত দুদিন ধরে দফায় দফায় সেখানে বৈঠক করেছেন তাঁরা কর্মীদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার আমিরুল শমসেরগঞ্জের ঢঙেই কখনও চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে প্রচার সেরেছেন,কখনও কারও বাড়িতে। এদিন ওই পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাজার এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী লিপিকা সাহাকে নিয়ে প্রচারেও বের হন তিনি।
শমসেরগঞ্জে গত মাসেই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আমিরুল। সে জয় অবশ্য সহজ ছিল না। কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলেরই জঙ্গিপুরের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের যমজ ভাই জইদুর। তাই সংশয় ছিল আমিরুলের জয় নিয়ে। আক্রমণ,প্রতি আক্রমণ নেমে এসেছিল ব্যক্তিগত কুৎসাতেও। ফলে দলের নেতাদের মধ্যেও শমসেরগঞ্জে জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে ২৬,৩৭৯ ভোটের ব্যবধানে যে ভাবে জয় ছিনিয়ে এনেছেন আমিরুল কার্যত তাতে খুশি দলের রাজ্য নেতারাও।
রাজ্য রাজনীতিতে বরাবরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী আমিরুল। সেই সূত্রে এক সময় জেলার যুব সভাপতি হন। পরে যুব সংগঠনের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাকে। সম্প্রতি তাকে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়তি দায়িত্ব পেলেও জেলা সভাপতি খলিলুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নির্বাচনের পর থেকে অত্যন্ত তিক্ত।