নদিয়ার মায়াপুরে ইস্কন প্রস্তাবিত “শ্রীচৈতন্য কালচারাল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার” নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল। ইস্কন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মায়াপুরে ওই সেন্টার তৈরি হবে। যে কমিটি এই কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকবে তার চেয়ারম্যান হতে চলেছেন তিনি।
গত রবিবার মায়াপুরে ঘণ্টা চারেকের ঝটিকা সফরে আসেন সজ্জন জিন্দল। ঘুরে দেখেন মায়াপুরে শ্রীচৈতন্য কালচারাল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের প্রস্তাবিত এলাকা। সেই সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমেরিকার বিখ্যাত গাড়ি কোম্পানির মালিক অ্যালফ্রেড ফোর্ডের সঙ্গে বৈঠক। ফোর্ড দীর্ঘদিন ধরেই ইস্কনের অন্যতম ভক্ত। মায়াপুরে বহু প্রকল্পে আর্থিক সহায়তাও করেছেন তিনি। প্রস্তাবিত হেরিটেজ সেন্টারেও তাঁর আর্থিক সহযোগিতা থাকবে বলে মন্দির সূত্রের খবর। এই প্রকল্প নিয়ে জিন্দলের সঙ্গে আলোচনা করতে রবিবার আমেরিকা থেকে উড়ে আসেন ফোর্ড ওরফে অম্বরীশ দাস। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। ইস্কন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত সজ্জন জিন্দল। এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে তিনি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারে মায়াপুরে পৌঁছন জিন্দল। প্রথমে মন্দির দর্শন করেন। তার পর চলে যান ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দেখতে। মূল ‘সাইট প্ল্যান’ ধরে তাঁকে বিস্তারিত ভাবে বোঝানো হয়। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুকুলে। সেখানে একপ্রস্থ আলোচনার পর সেরে নেন দুপুরের আহার। ইতিমধ্যে দুপুর আড়াইটে নাগাদ মায়াপুরে পৌঁছন অ্যালফ্রেড ফোর্ড। তিনি দমদম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মায়াপুরে পৌঁছে যোগ দেন সজ্জন জিন্দলের সঙ্গে। দুই শিল্পপতি আলোচনায় বসেন নির্মীয়মাণ নতুন মন্দিরের একটি ঘরে। সেই বৈঠকে ইস্কনের কয়েকজন শীর্ষকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই কর্তাদের অন্যতম মায়াপুরের ভূমি বিভাগের প্রধান অলয়গোবিন্দ দাস বলেন, “হেরিটেজ সেন্টারের জন্য একটি উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। প্রকল্পের যাবতীয় কাজ ওই কমিটির তত্ত্বাবধানে হবে। ইস্কনের তরফ থেকে সজ্জন জিন্দলকে সেই কমিটির চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন।”