সেই হস্টেল। নিজস্ব চিত্র
তৈরি হয়েও দু’বছর ধরে তালা বন্ধ সাগরদিঘি কলেজের ছাত্রী আবাসন। ৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের থাকার জন্য আবাসনটি তৈরি করা হয়। কিন্তু সেখানে থাকতে পারছেন না ছাত্রীরা।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ওই কলেজে হাজার দুয়েক পড়ুয়া পড়েন। অনেক পড়ুয়াই নবগ্রাম, বীরভূম থেকে পড়তে আসেন এখানে। তাঁদের যাতায়াতের অসুবিধার কথা ভেবে আবাসনটি তৈরি করা হয়।
নবগ্রামের পুন্ডি থেকে সাইকেলে চেপে কলেজে আসেন মানোয়ারা খাতুন। তিনি বলছেন, “সাইকেলে ১৬ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কলেজে আসতে হয়। কিন্তু হস্টেলে থাকার সুযোগ মেলে না।’’
তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নিমগ্রামের নাসিমা খাতুন বলছেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কবে নাগাদ আবাসটি চালু হতে পারে। কিন্তু কেউই এর সদুত্তর দিতে পারেননি।’’
ওই কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্ধেশ্বর পাহাড়ি জানান, সরকারি জমিতে ওই আবাসনটি তৈরি করা হয়। ৬ জন কর্মী নিয়োগের অনুমোদনও মিলেছে। রান্না ঘর, নিরাপত্তা কর্মীদের ঘর তৈরির অনুমোদনও মিলেছে। ৭৫ জন ছাত্রীর থাকা ও খাওয়ার জন্য মাথা পিছু মাসে ১০০০ টাকা করে খরচও অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও চালু হয়নি আবাসনটি। জেলা প্রশাসনের কর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে কিছুই করছেন না।
কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক শুভজিৎ কুণ্ডু বলেন, “এখনও পর্যন্ত হস্টেলটি চালুর ব্যাপারে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।’’
সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আকলিমা বিবি বলছেন, “বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’’
সংখ্যালঘু দফতরের জেলার নোডাল অফিসার সৌমেন দত্ত বলেন, “যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল তাতে হস্টেলের কাজ শেষ হয়নি। প্রাচীর, বিদ্যুতের ব্যবস্থা-সহ বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সে সব কাজ শেষ হলেই ছাত্রীদের থাকার জন্য হস্টেলটি খুলে দেওয়া হবে।’’