সাগরদিঘির উপনির্বাচনের প্রচার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: অর্কপ্রভ
ফের সাগরদিঘিতে এসে আরও কড়া ভাষায় নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডলকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “কানাইবাবু বলছেন তিন দিনের মধ্যে কেস করবেন। তা তিন দিন তো হয়ে গিয়েছে? কেস কবে হবে মাননীয় কানাই চন্দ্র মণ্ডল? কেস করলে আমি প্রস্তুত। আমি বলব ইডি সহ অন্যদেরও কেসে পার্টি করা হোক। আপনি সিপিএম যখন করতেন আপনার কী ছিল? দোতলা ভাঙা বাড়ি। এখন তো প্রাসাদ করেছেন। বিএড কলেজ করেছেন। নার্সিংহোম করেছেন। আর বলছেন গাড়ি নাকি ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে? আপনি মুখ খুলেছেন বলে খুলছি। নইলে আপনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নন। আপনার মালিককে আমি হারিয়েছি নন্দীগ্রামে। আপনি তো ওই কোম্পানির কর্মচারী। আপনি দুটো গাড়ি চড়েন। একটা তৃণমূলের দেওয়া গাড়ি, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন বলে। আর একটা গাড়ি আপনার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কেনা।’’ কানাইচন্দ্রের পাল্টা জবাব, ‘‘সব অভিযোগই মিথ্যা। আদালতে যাব বলেছি, যাব।’’
শুভেন্দু বলেন, “পাশেই নবগ্রাম। বাংলাদেশ থেকে লোক এসে একশো দিনের কাজ করে টাকা তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৯৫ লক্ষ ভুয়া জব কার্ড বাতিল করতে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী তছা তৃণমূল দলনেত্রীর উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তিনি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন সভা করতে। সেখানে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের ধরে মাঠ ভরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নামে যা তা বলেছেন। এখন শিশু সুরক্ষা কমিশন দেখতে পায় না। আর আমি কয়লা-ভাইপোর ছেলের কথা বলতেই ভাইপোর খোঁজ নিয়ে নোটিস পাঠাল শিশু সুরক্ষা কমিশন।’’
শুভেন্দুর দাবি, হিঙ্গলগঞ্জে কম্বল বিতরণের জন্য খরচ হয়েছে ৫ কোটি টাকা, তার মধ্যে ৮০ লক্ষ টাকা ভাঙা হয়েছে এসসিএসটি উন্নয়ন কর্পোরেশনের টাকা থেকে। আর ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ভাঙা হয়েছে মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্ট থেকে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুইয়ে যখন ভাদু আনারুলের লোক গিয়ে পুড়িয়ে মারল শিশু সহ মহিলাদের। সেখানে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল তাও রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের মিডডে মিলের টাকা থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে। আসার পরেই দিল্লিতে থাকা ভাইপোকে এনে উত্তরসূরী তৈরি করেছেন। দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রার্থী করে পরিবারবাদের জয়যাত্রাটা আরও এগিয়ে নিয়েছেন।” তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর অভিযোগ, কাবিলপুরের এক প্রধান তার আত্মীয় স্বজন মিলে ৩৫টি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছেন। যদিও ওই প্রধান এদিন শুভেন্দুর অভিযোগ করে একে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কানাইবাবু বলেন, ‘‘আদালতে দেখা হবে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে।’’