বাইরনের কেনা নতুন বাড়ি। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
রাজ্যকে পথ দেখিয়েছে সাগরদিঘি। তাই শুধু এ জেলাতেই নয়, দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সদ্য জয়ী কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সাগরদিঘির জয় শুধু কংগ্রেসকেই নয়, বাম কর্মী, সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করেছে। তাই বামেরা ডাকলেও সেখানেও যাবেন বাইরন। জানিয়ে দিল কংগ্রেস।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, “কংগ্রেস দলগত ভাবে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু এটাই বোঝাপড়া। রবিবার জঙ্গিপুরের সেখালিপুরে বাইরনের উপস্থিতিতে তৃণমূলের শতাধিক কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সাগরদিঘির জয়কে সামনে রেখে আরএসপিও সোমবার বড় মিছিল করেছে বহরমপুরে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কর্মীরা যেখানে চাইবেন বাইরন সেখানেই যাবেন।” রবিবার সেখালিপুরে বাইরন সাগরদিঘির জয়ের গল্প শুনিয়ে কর্মীদের যেভাবে উৎসাহিত করেছেন তাতে আগামী দিনে এ জেলায় কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবার ভরসা পাচ্ছেন বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য অমিত তিওয়ারি। তিনি বলেন, “সেখালিপুর থেকে বাইরন যান সাগরদিঘির কাবিলপুরে। সেখানে সিপিএম কর্মীরা তাঁকে জেতাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁরাই তাঁকে ডেকেছিলেন সংবর্ধনা দিতে। বহু তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন।’’ ভোটে জেতার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই সাগরদিঘিতে বাড়িও কিনে ফেলেছেন তিনি বহিরাগত অপবাদ ঘোচাতে। ব্লক অফিস থেকে ২০০ মিটার দূরে সাড়ে ১৬ শতক জমির উপর দ্বিতল ওই বাড়িতে অফিস খুলবেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন।সর্বত্রই কংগ্রেস কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখা যায় তাঁকে ঘিরে। চলে সেলফি তোলার হিড়িক। বাইরনও ছিলেন হাসিমুখে।
বাইরন বলছেন, ‘‘আমাকে কিনে নেওয়ার মতো ক্ষমতা কারও নেই। সাগরদিঘিতে মানুষ যেভাবে আওয়াজ তুলেছে তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভাল ফল দেখতে পাবেন।’’
তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, একটি উপনির্বাচনের ফলাফলের উপরে রাজ্যের ভোট-ভবিষ্যৎ নির্ভর করে না।