Chakdaha Railway Station

‘বাথরুমে যাচ্ছি, ধৈর্য ধরুন’, রেলকর্মীর অসহায় বার্তা, তার পরেও টিকিটের জন্য চাকদহ স্টেশনে বিক্ষোভ

রেলকর্মীর ‘অসহায়তা’ নিয়ে যাত্রীদের সহানুভূতি থাকলেও রেল দফতরের প্রতি ক্ষুব্ধ টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকশো যাত্রী। প্রশ্ন উঠছে রেলের অব্যবস্থা নিয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চাকদহ শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ১৮:০১
Share:

ভাইরাল হওয়া সেই বার্তা। —নিজস্ব চিত্র।

সামনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইন। কিন্তু প্রকৃতির ডাককে উপেক্ষা করার আর উপায় ছিল না। গোটা স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্ব একা হাতে সামলাচ্ছিলেন ওই রেলকর্মী। উপায়ান্তর না দেখে পিচবোর্ডে মার্কার দিয়ে লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন, ‘‘বাথরুমে যাচ্ছি। আর কোনও লোক নেই। ধৈর্য ধরে দাঁড়ান। এসে টিকিট দিচ্ছি।’’ কিন্তু টিকিটের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিল। দানা বাঁধে অসন্তোষ। শুরু হয় যাত্রীবিক্ষোভ।

Advertisement

রেলকর্মীর ‘অসহায়তা’ নিয়ে যাত্রীদের সহানুভূতি থাকলেও রেল দফতরের প্রতি ক্ষুব্ধ টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকশো যাত্রী। রেল দফতরের শূন্যপদ নিয়ে চর্চার মাঝেই রেলকর্মীর ওই আবেদনমূলক বার্তা সামাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

পূর্ব রেল সূত্রে খবর, গত সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ মেন শাখার চাকদহ টিকিট কাউন্টার কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিয়ে প্রস্রাব করতে যান রেলকর্মী। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের উদ্দেশে একটি বার্তা লিখে সাঁটিয়ে দিয়ে যান কাউন্টারের সামনে। কিন্তু অপেক্ষারত যাত্রীদের প্রশ্ন, ‘‘কেন রেল দফতরে বিকল্প কর্মী নেই?’’ এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। অনেকেই ওই পিচবোর্ডে লেখার ছবি তুলে ছড়িয়ে দেন সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ জানান, যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। কিন্তু তাঁরা অসহায়। তিনি বলেন, “কর্মীরা এই জায়গায় অসহায়। নতুন নিয়োগ হচ্ছে না রেলে। কর্মী না থাকায় পরিচালনা হচ্ছে না ঠিক ভাবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রেল তো কর্মী নিয়োগে সম্পূর্ণ উদাসীন। তার ফলে এই সমস‌্যা তৈরি হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement