স্থানীয়দের পথ অবরোধ।
মাটি মাফিয়াদের লরি চলাচলের দৌরাত্ম্যের জেরে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করলেন শনিবার সকালে।
এ দিন সকাল আটটা থেকে চাকদহ থানার মুক্তিপাড়া এলাকায় রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। অবরোধের ফলে চাকদহ নিমতলা রাজ্য সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দু’দিকে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। দুপুর একটা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামি মঙ্গলবার আবার রাস্তা অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে সারা দিন বেপরোয়া ভাবে মাটি-ভর্তি লরি চলাচল করে। যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এ দিন এলাকার মহিলারাও এই পথ অবরোধে শামিল হয়েছিলেন।
অবরোধকারী স্থানীয় একবাসিন্দার কথায়, ‘‘দিনভর মাটির লরি চলার কারণে এলাকায় বসবাস করা যাচ্ছে না। কমিশনে ওই সব মাটির গাড়ি চলে বলে অঘোষিত ভাবে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে যেন, অল্প সময়ে কে কত বেশি ট্রিপ দিতে পারবে। সেই কারণে তারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। রাস্তায় কে বা কারা আছে, সেটা দেখে না।’’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, “এই লরিগুলো খুব জোরে চলে। গাড়িগুলো চলার সময়ে রাস্তার উপরে মাটি পড়ে। সেই মাটি শুকিয়ে যায়। পরে তার উপর দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময়ে এলাকায় ধুলো উড়তে শুরু করে। রাস্তার ধারের ঘরে থাকা যায় না। বাড়িঘরের দেওয়ালের রং বদলে গিয়েছে।’’তাঁদের অভিযোগ, ওই মাটি নিয়ে যাওয়া গাড়ির চালকদের মানা করলেও তারা শুনতে চায় না। উল্টে তারা স্থানীয়দেরই ভয় দেখায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাস বলেন, “এই পাকা রাস্তা খানাখন্দ, গর্তে ভরে গিয়েছিল। সেই রাস্তার উপরে ভাঙা ইট দেওয়া হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলার কারণে ধুলো ওড়ে। ঘরে ধুলোয় ভরে যায়। ঘরে থাকা যায় না। বয়স্কদের কষ্ট হয়। রাস্তায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে ভাল হত।”
চাকদহের বিডিও অনুপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি গ্রামবাসীদের লিখিত ভাবে তাদের অভিযোগের কথা জানাতে বলেছিলাম। তা হলে বিষয়টি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানাতে পারতাম। সেখানে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেত। তারা এখনও কিছু জানায়নি। পূর্ত দফতর সূত্রে এতটুকু জেনেছি, সেখানে রাস্তার কাজ এখনও বাকি রয়েছে।” নিজস্ব চিত্র