—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রায় দু’বছর আগের ঘটনা। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় ইয়াসউদ্দিন শেখের (৫০)। অক্টোবরে সেই ঘটনার তদন্তে নামে এনআইএ। মঙ্গলবার এনআইএ বোমা বিস্ফোরণ মামলায় চার্জশিট জমা দেয়। ৩৩ পাতার চার্জশিট জমা পড়েছে।
বোমা বিস্ফোরণ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বেলডাঙার রামেশ্বরপুর গ্রামে। তদন্তকারীরা এই ঘটনার তদন্তে একাধিক বার বেলডাঙার বিভিন্ন গ্রামে যান। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট হলেও তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল তার অনেক আগে। বেলডাঙা ১ ব্লকের ভাবতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর গ্রামে দুটো গোষ্ঠীর লড়াই শুরু হয়। কাদের দখলে থাকবে গ্রাম। কারা পঞ্চায়েতে টিকিট বিলি করবে। সেই ক্ষমতা দখল নিয়ে গ্রাম উত্তপ্ত হয়। সূত্রের খবর তখনই বোমা তৈরির কাজ শুরু হয়। গ্রামে কারিগর নিয়ে এসে বোমা তৈরি হচ্ছিল। রাতের অন্ধকারে বিস্ফোরণ। তাতেই মৃত্যু হয় ইয়াসউদ্দিন শেখের। এনআইএ আধিকারিকেরা তাঁর স্ত্রী আসরাফুন বিবির সঙ্গে কথা বলেন। আসরাফুন তাঁদের জানান, তাঁর স্বামী চাষাবাদ করতেন। তাঁর ছেলেরা কেউ রাজমিস্ত্রি। কেউ অন্য কাজ করে। আর কিছু তিনি বলেননি।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় তৎকালীন ভাবতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোরাবুদ্দিন শেখের। তাঁকে তদন্তকারীরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সোরাবুদ্দিন বুধবার বলেন, ‘‘এখন নতুন করে বলার কিছু নেই।’’ তবে যাঁরা ঘটনায় যুক্ত বা যাদের নামে অভিযোগ তারা তৃণমূলের আশ্রিত বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের বেলডাঙা এরিয়া কমিটির সম্পাদক শাজাহান আলি বলেন, ‘‘যারা অপরাধী তারা শাস্তি পাক। তবে নিরপরাধীরা যেন শাস্তি না পায়। যারা ঘটনায় জড়িত তারা তৃণমূল আশ্রিত বলেই শোনা যাচ্ছে।’’ বেলডাঙা ১ ব্লক উত্তর তৃণমূল সভাপতি বনতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘আইন আদালত যেটা বিচার করবে সেটা হবে। দোষী শাস্তি পাবে। এখানে দলের প্রশ্ন আসছে না।” তৃণমূল নেতা আবু সইদ বলেন, “আমাদের ধারণা এদের ফাঁসানো হচ্ছে। এটা একটা চক্রান্ত।’’