কুপার্স ক্যাম্প। —ফাইল চিত্র।
মাস দুয়েক আগে হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। গত শনিবার ফল প্রকাশ হয়েছে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনের। কিন্তু বছর দুয়েক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ায় পুরভোট কবে হবে, এই প্রশ্নই এখন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা। লোকসভা নির্বাচনে শহরে তৃণমূলকে পিছিয়ে থাকতে হলেও, উপনির্বাচনে তৃণমূল এখানে লিড বাড়িয়েছে। তাই পুরসভা নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করছেন এখানকার তৃণমূল নেতারাও।
২০১৯ সালের লোকসভার ফলাফলের নিরিখে কুপার্স শহরে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তাদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় তৃণমূল। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কুপার্সে আবার ১৫৫৮ ভোটে বিজেপির কাছে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনে তারা ৩৯০৮ ভোটে ফের উদ্বাস্তু শহরে লিড বাড়িয়েছে। এই ফল পুরসভা নির্বাচনে এলাকার তৃণমূল শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহুাল মহলের একাংশ। অনেকের মতে, উদ্বাস্তু ভোটারদের একটা অংশ যখন সদ্য হওয়া উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলকে সমর্থন জানিয়েছে, তাই এখন কুপার্সে পুরভোট হলে তা তৃণমূলের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়া। ২০১৭ সালের অগস্টে শেষ পুরভোটে তৃণমূল ১২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল। প্রায় দুই বছর আগে সেই পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নতুন করে নির্বাচন হয়নি। প্রশাসক হিসেবে রানাঘাটের মহকুমাশাসক পুরসভার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাতেও তৈরি হয়েছে বিস্তর সমস্যা। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুপার্সের জঞ্জাল ও নিকাশি সমস্যার কথা তুলেছেন। মহকুমাশাসককে শো-কজ়ও করতে বলেছেন।
কুপার্সের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, পুরবোর্ড না থাকায় এলাকার উন্নয়ন কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। তৃণমূলের শহর সভাপতি দিলীপকুমার দাস বলেন, "এলাকার মানুষ লোকসভায় মুখ ফেরালেও, বিধানসভা উপনির্বাচনে আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। দ্রুত যাতে এখানকার পুরসভা নির্বাচন করা সম্ভব হয়, আমরাও প্রশাসনের কাছে সেই আবেদন রেখেছি।" আর কুপার্সের বিজেপি নেতা দীপক দে বলেন, "মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে লোকসভার মতো বিধানসভা উপনির্বাচনেও তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত ছিল কুপার্সে। পুরভোট ঠিক মতো হলে আমরাই জিতব।"