ভোটের পরে ডোমকলের মহকুমাশাসক তাহেরুজ্জামান দাবি করেছিলেন, একটি বুথে যন্ত্র বিগড়ে যাওয়া ও পরে তা পাল্টে দেওয়া বাদে ইভিএম সংক্রান্ত কোনও গণ্ডগোলের কথা তাঁর জানা নেই।
অথচ সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, আমিনাবাদে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৯৫ ও ৯৬ নম্বর বুথে ইভিএম ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ওই দু’টি বুথে আজ, মঙ্গলবার ফের ভোট নেওয়া হবে। মহকুমাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘ওই দু’টি বুথে ইভিএম ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলেই ফের ভোট নেওয়া হচ্ছে।’’
বিরোধীদের কটাক্ষ, এটি আসলে শাসক দল প্রযোজিত প্রহসনেরই এক নতুন অঙ্ক। যখন কোনও বুথেই মানুষ ভোট দিতে পারল না, তখন কেবল দু’টি বুথে ফের ভোট করে কী হবে?
সিপিএম নেতা নারায়ণ দাসের কথায়, ‘‘দু’টি বিচ্ছিন্ন ভোটে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। গোটাটাই একটা প্রহসন। আমরা ১০২টি বুথেই ফের ভোট চাইছি।’’ আর বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘যা হচ্ছে, সবটাই লোক দেখানো। একটা প্রহসন। আমরা এখানে প্রতিটি বুথেই ফের ভোট চাইছি।’’
জোটের নেতাদের আরও দাবি, যে সব বুথে তৃণমূল একতরফা সন্ত্রাস করেছে, সেখানে ফের ভোট নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জোটের জোর আছে, সেখানেই তারা নিজেরা ইভিএম ভেঙে নতুন করে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
বস্তুত, রবিবার সকাল থেকে প্রায় সর্বত্র তৃণমূল যখন বুথের দখল নিয়ে ফেলেছে, তখনও ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছিল। বেলা গড়াতেই সেখানে বোমাবাজি শুরু হয়। দু’টি বুথে ভাঙচুর হয় ইভিএম। তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা ওখানে জোর করে ভোট করছিল। বাধা পেয়ে তারাই ইভিএম ভাঙচুর করে। জোট নেতাদের পাল্টা দাবি, সুষ্ঠু ভোট হতে দেখে তৃণমূলই ইভিএম ভেঙেছিল।