পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
আন্দোলনের ডাক ছিল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা পরিণত হল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে।
শনিবার বিকেলে ইসলামপুর বাজারে রানিনগর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা রানিনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিনুল হাসানের বাড়িতে হামলা চালায় আন্দোলনে যোগ দিতে কিছু লোকজন। ভাঙচুর চালানো হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় দু’টি গাড়ি ও দু’টি মোটরবাইক।
এই ঘটনার পরে আমিনুল সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন দলেরই নেতা মহম্মদ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘‘জাকারিয়া কৌশলে লোক জড়ো করে পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে।’’ এই মর্মে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছেন আমিনুল। যদিও রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরেনি। জাকারিয়ার পাল্টা দাবি, ‘‘আমিনুল হাসানের নানা দুর্নীতি নিয়ে আমি সরব হয়েছি বলেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি বিন্দুবিসর্গ জানি না।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
রানিনগর ১ ব্লকে আমিনুল হাসান শিবিরের সঙ্গে জাকারিয়া শিবিরের কোন্দল দীর্ঘদিনের। আমিনুল দলের ব্লক সভাপতি পদের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদও পাওয়ার পরে তা চরমে উঠেছে। এ দিন সকাল ১০টা থেকেই ইসলামপুর বাজারে জড়ো হতে থাকেন হাজার-হাজার মানুষ। স্থানীয় সূত্রের খবর, হঠাৎই স্লোগান তুলে থানামুখো হয় জনতা। ভিড়ের চোটে ইসলামপুর বাজারে বন্ধ হয়ে যায় বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। ভিড়ের চোটে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় করিমপুর-বহরমপুর রাজ্য সড়কে হাজার-হাজার যাত্রী বিপাকে পড়েন। পুলিশ ছিল কার্যত নীরব দর্শক।
সন্ধ্যায় আবার জলঙ্গি সাগরপাড়া এলাকায় একটি মিছিলের সামনে পুলিশের গাড়ি চলে আসায় বচসা বাধে। জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ রাস্তার পাশেই একটি মোটরবাইকের শোরুমে আশ্রয় নেয়।