খাবার পরীক্ষা করে দেখছেন প্রধান শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র
মিড-ডে মিলের খাবারে মিলেছিল সেদ্ধ হওয়া সাপ। গত বুধবারের সেই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার তেহট্টের নাটনা অঞ্চলের নাটনা জুনিয়র বেসিক স্কুলের ঘটনা।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিড-ডে মিলের খাবার অনেক ছাত্র-ছাত্রী বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খায়। গত বুধবার এ রকমই এক ছাত্রী খাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। খেতে গিয়ে দেখে খাবারে রয়েছে একটি সাপ। সে খবর ছড়িয়ে পড়তে স্থানীয় অভিভাবকদের একাংশ প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রধান শিক্ষক সে সময় স্কুলে ছিলেন না।
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা জানান, ১৫ই অগস্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচিত ছিল অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু তাঁরা কেউই বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা করেননি। প্রত্যেক শিক্ষকই সকাল আটটার মধ্যে বিদ্যালয় থেকে চলে যান। যদি বিদ্যালয়ের কোনও ভুল না-ই থাকত তা হলে তাঁরা অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করতে ভয় পাচ্ছিলেন কেন।
যে ছাত্রীর খাবারে সাপ মিলেছিল তার বাবা নিতীশ ঘোষ বলেন, ‘‘বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে আমার মেয়ে-সহ অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা রক্ষা পেয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ খাবারের বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। প্রথমে তো আমাদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে চাননি। এই কারণে আমাদের আজকের এই বিক্ষোভ।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বুধবার রান্নার লোকেরা সব কিছু পরিষ্কার করেই রান্না বসান। খাবার তৈরির পর শিক্ষক ও রান্নার কর্মীরা খেয়ে দেখেন। তার পর বাচ্চাদের দেওয়া হয়। কী ভাবে সাপ খাবারের মধ্যে এল তা বোঝা যাচ্ছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নন্দগোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘‘রান্নার ঘরের আশেপাশে সব জঙ্গল পরিষ্কার করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে তা বিষয়ে সতর্ক থাকব।’’