—প্রতীকী চিত্র।
পুরোহিত খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতের আদেশ দিল রানাঘাট আদালত। পুলিশের দাবি, তারা জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে। শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। শনিবার আদালতে হাজির করানো হয়।
গত ১০ অক্টোবর শান্তিপুরের বাগ্দেবীতলার কাছে একটি জলাশয়ে উদ্ধার হয় স্থানীয় বাগ্দেবী মন্দিরের পুরোহিত সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোম্বলের দেহ। ৭ অক্টোবর, নবমীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে স্থানীয় লক্ষ্মীনাথপুরে একটি পুজোমণ্ডপের সামনে সুপ্রিয় মদ্যপান করায় তিন যুবকের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছিল। স্কুটারে চাপিয়ে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার তারাই তাঁকে জলাশয়ে ঠেলে ফেলে দেয় বলে পুলিশের দাবি।
কিন্তু পরিবারের দাবি, জলাশয়ের পাড়ের কাছে যে কোমর-সমান জল থেকে দেহ মিলেছে, সেখানে আগের দিনও মৎস্যজীবীরা মাছ ধরেছেন। মৃতের ভাইপো রণব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে, কাকাকে অন্য কোথাও মেরে এখানে ফেলে গিয়েছে।” তবে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আঘাত নয়, জলে ডুবে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এ দিন শান্তিপুরে মৌনী মিছিল বার করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট। আজ, মঙ্গলবার তারা শান্তিপুর থানায় স্মারকলিপি জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে।