ইকবাল শেখ (লাল টি-শার্ট পরা)। নিজস্ব চিত্র
দিনকয়েক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মূক ও বধির, মানসিক ভারসাম্যহীন এক নাবালক। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছিল। ফেসবুকে ওই নাবালকের ছবি পোস্ট করে দিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। শেষ পর্যন্ত ফেসবুকে এক পরিচিত দেখে বিষয়টি ওই বালকের পরিবারকে জানায়। তারা থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ ওই বালককে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ অগস্ট রাতে এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন রানিতলা থানার সেকেন্ড অফিসার সৌমেন নাথ। রানিতলার জাফর মোড়ে তিনি দেখেন, বাসস্ট্যান্ডে বছর বারোর ওই বালক বসে রয়েছে। তিনি এক ঝলকে দেখেই বুঝে যান, ওই বালক মূক ও বধির। স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই বালককে চিনতে পারেননি। তারপরই ওই অফিসার বালকটিকে থানায় নিয়ে যান। এরপরই বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করেও ওই বালকের পরিবারের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। ওই পুলিশকর্মী সিদ্ধান্ত নেন, ফেসবুকে ওই বালকের ছবি পোস্ট করা হবে। ওই রাতেই ছবি আপলোড করা হয়। সঙ্গে বালকের বিবরণ এবং কোথা থেকে তাকে পাওয়া গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও দেওয়া হয়েছিল।
অবশেষে গত সোমবার ফেসবুকে ওই বালকের ছবি দেখে তার এক আত্মীয়। বুধবার ওই বালককে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বালকের নাম ইকবাল শেখ। তার বাবা বেশ বছর কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। বাড়িতে মা ও চার ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সে। জন্ম থেকেই ইকবাল মূক ও বধির। গত ১ অগস্ট রাতে সকলের চোখ এড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সে। বাড়ির লোকজন বিস্তর খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে ইকবালের মা তাজরুবা বেওয়া মঙ্গলবার রানিতলা থানায় যোগাযোগ করেন। বুধবার ইকবালকে হোম থেকে এনে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। রানিতলা থানার ওসি অনিন্দম দাস বলেন, ‘‘ওই বালককে পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছে সৌমেনবাবুর জন্যই। উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেন।’’ আর সৌমেনবাবু বলছেন, ‘‘এর আগেও তিন জনকে এভাবেই বাড়ি ফেরানো গিয়েছিল। তাই ফেসবুকেই ছবি দেওয়া মনস্থ করি।’’