আদালতের পথে ধৃত! নিজস্ব চিত্র
সাহেবনগরে গুলি-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডল এখনও ফেরার, দেড় মাস ধরে পুলিশ তার খোঁজ না পেলেও গ্রামবাসীদের কাছে আশ্বাসের গাজর ঝুলিয়ে রেখেছে— ‘আর কয়েকটা দিন, তহিরের জাল গুটিয়ে আনা হচ্ছে।’ সেই নিরন্তর প্রতিশ্রুতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে তহিরুদ্দিনের ভাই মহিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ওই দিন, রাতে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে ধরা হয় বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার আদালত ধৃতকে দু’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলেন, ‘‘ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহিরুদ্দিনকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা হবে।’’ কিন্তু তহিরুদ্দিন? পুলিশ সুপারের দাবি, ‘‘একে একে সবাই গ্রেফতার হবে। তহিরুদ্দিনের জাল গুটিয়ে আনা হচ্ছে।’’ পুলিশের এই নিত্য আশ্বাসের মধ্যেই দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের তামান্না ইয়াসমিনের স্বামী শামিম আখতারুজ্জামান ওরফে মিল্টনকে। তবে, মূল অভিযুক্ত তহির গ্রেফতার না হওয়ায় শুক্রবার ফের পথে নামেন বাসিন্দারা। স্থানীয় সংগঠন, নাগরিক মঞ্চের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছে করে তহিরকে সময় দিচ্ছে। ইচ্ছে করলে তহিরকে ডেকে এনে গ্রেফতার করতে পারত পুলিশ। যদিও জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, তহির গ্রেফতারি নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এলাকা ছেড়েছে। নাগরিক মঞ্চের অন্যতম কর্তা গোলাম রহমান বলছেন, ‘‘তহিরকে গ্রেফতার না-করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না, প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে সাহেবনগরে।’’