মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে উদ্ধার বোমা।ছবি অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও জেলায় বোমা উদ্ধার চলছেই। শনিবার রাতে শমসেরগঞ্জের কাঁকুড়িয়ায় বাঁশবাগান থেকে বালতি বোঝাই বোমা উদ্ধার হয়। ওইদিন গভীর রাতে ফরাক্কার মহেশপুরে দুষ্কৃতীরা বোমা বাঁধছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা গিয়ে ধরে তিন জনকে। এব্রাহিম শেখ ওরফে জুলুম শেখ, হোদা আলম ওরফে হোদা এবং নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে নাসির। তারা ওই এলাকারদাগি দুষ্কৃতী।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ১০টি বোমা ও বোমার উপকরণ। জুলুম খুনের মামলায় অভিযুক্ত। পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুলিশের সন্দেহ, ঝাড়খণ্ড ও কালিয়াচক থেকে বিস্ফোরক এনে বোমা বানিয়ে তারা বিক্রি করে। শমসেরগঞ্জের কংগ্রেস নেতা আব্দুল খালেকের দাবি, শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ইসলামপুরে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। দুষ্কৃতীরা একটি বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে।
ফরাক্কার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, “বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই জন্যই এত বোমা উদ্ধার হচ্ছে।” যদিও এ দিন বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশের এখন একটাই কাজ। যারা তৃণমূলকে ভোটে হারিয়েছেন তাঁদের উপর হামলা করে তৃণমূলে ফিরিয়ে আনা। কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখানকার পুলিশ নির্বিচারে অত্যাচার করছে। জেতার পর বিরোধী প্রার্থীকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। বাড়িতে থাকলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে। জেলায় বোমা উদ্ধার কমছে না। কারণ, যাদের কাছে বোমা রয়েছে তাদের ধরার ক্ষমতা পুলিশের নেই।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তোয়াব আলি বলেন, “তৃণমূলের নেতারাও জানেন যে ভাবে সন্ত্রাসের ভোট হয়েছে, তাতে লোকসভা ভোটে জেতা তাদের সমস্যা হবে। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে অনেক জায়গাতেই। তাই এলাকা শান্ত। বাহিনী চলে গেলেই শাসক দলের সন্ত্রাস শুরু হবে।’’ তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘তৃণমূলের কর্মীরা শমসেরগঞ্জে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন, তাঁদের অত্যাচারে বহু কংগ্রেস কর্মী ঘর ছেড়ে দলীয় অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন, এমন কিছু জানা নেই। তেমন ঘটলে নাম-পরিচয় জানান। আমি তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেব। পুলিশকে বলব, তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। বোমা যারা বাঁধছে তারা তৃণমূলের কেউ নয়। পুলিশ তাদের ধরুক।’’