—প্রতীকী ছবি।
সরকারি জটিলতায় অসুস্থ পুলিশ অফিসারকে শেষ পর্যন্ত প্লাজ়মা দিতে পারলেন করোনাজয়ী এক ছাত্রী। সারা দিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হন্যে হয়ে ছুটে হতাশ হয়ে তাঁকে ফিরতে হল বাড়়িতে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর তাঁর দেহে অ্যান্টিজেন জন্মেছে কিনা জানতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট গ্রাহ্য করেনি কলকাতার এক নামী বেসরকারি হাসপাতাল। সেখানকার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখালে বা স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে পাওয়া নেগেটিভ রিপোর্ট তবেই প্লাজ়মা দেওয়া যাবে।’’ ওই অফিসারের ফুসফুসের ৬০ শতাংশ মারাত্মক ভাবে সংক্রমিত হয়ে গিয়েছে। সেটা জেনে এগিয়ে এসেছিলেন দমদমের বাসিন্দা বছর সাতাশের ওই তরুণী। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্লাজ়মা দেওয়ার নিয়ম কী? এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। আর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্লাজ়মা থেরাপির দায়িত্বে থাকা অন্যতম চিকিৎসক প্রসূণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আইসিএমআরের প্রোটোকল মেনে এখন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্টও গ্রাহ্য করা হয়। সেই সঙ্গে করোনার চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়়া পাওয়ার ২৮ দিন পর সেই রোগীর থেকেও প্লাজ়মা নেওয়া হয়। তার জন্য আলাদা নেগেটিভ রিপোর্ট লাগে না।’’