এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, খাবার কিনে দেওয়ার নাম করে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়। পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ঝোপ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ১৪ বছর বয়সি মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবার। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর নির্যাতিতার কাছে ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের হুমকিরও অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধর্ষণ এবং খুনের হুমকির প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছে পরিবার।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, প্রতিবেশী এক যুবক মেয়েটিকে খাবার কিনে দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু দোকানে না গিয়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করা হয়। তাতে সে সংজ্ঞা হারালে সেখানেই তাকে ফেলে রেখে চলে যান ওই প্রতিবেশী। অন্য দিকে, দীর্ঘ ক্ষণ বাড়ি না ফেরায় মেয়ের খোঁজ শুরু করেন বাবা-মা। অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ‘‘দাদা সম্পর্কের ওই যুবক খাবার কিনে দেওয়ার নাম করে শ্মশান এলাকার একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে এসে তারা খাবার খাচ্ছিল। হঠাৎ ওই দাদা উঠে এসে আমাকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। একটা ফাঁকা জায়গায় আমাকে ধর্ষণ করেছে। সেটা আবার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ডও করেছিল ও। বলেছিল, বাড়িতে কাউকে বললে ভাইরাল করে দেবে ভিডিয়ো।’’ নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, কাউকে এ কথা জানালে ওকে মেরে ফেলা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাড়িতে মেয়েকে একা রেখে কাজে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে শুনলাম, প্রতিবেশী এক দাদার সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছে। দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও ও না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ফোনে পাওয়া যায়নি ওই ছেলেটিকেও। পরে শ্মশানে এলাকার জঙ্গলে মেয়েকে খুঁজে পেয়েছি।’’ অভিযোগ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, একটি অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত ভাবে এ সম্পর্কে বলতে পারবেন।