Fire Arm

কৌঁসুলি নেতার ‘সঙ্গী’র হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, চর্চা

এক জন সরকারি আইনজীবীর দায়িত্ব যেখানে অপরাধীদের শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা করা, তাঁর সঙ্গী কী করে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ঘুরতে পারে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩২
Share:

রাজা দুবের সাঙ্গোপাঙ্গদের মধ্যে এমন লোকজন উপস্থিত ছিল, যাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। — প্রতীকী চিত্র।

তিনি শুধু তৃণমূল নেতাই নন, কৃষ্ণনগর আদালতের সরকারি আইনজীবীও বটে। তাঁর সঙ্গে‌ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক যুবকের ছবি (আনন্দবাজার ছবিটির সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন শাসক দলের নেতারা।

Advertisement

বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, শাসক দলের নেতার সঙ্গে কী ভাবে এই ধরনের লোকেদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়? এক জন সরকারি আইনজীবীর দায়িত্ব যেখানে অপরাধীদের শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা করা, তাঁর সঙ্গী কী করে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ঘুরতে পারে?

বুধবার কৃষ্ণনগরের কাছে শম্ভুনগর এলাকায় জলঙ্গি নদীর পাশে সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলন কৃষ্ণনগর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজা দুবে। তিনি আবার তৃণমূলের কৃষ্ণনগর শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদকও বটে। সেই চড়ুইভাতিতে উপস্থিত লোকজনের একাংশের দাবি, রাজা দুবের সাঙ্গোপাঙ্গদের মধ্যে এমন লোকজন উপস্থিত ছিল, যাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। চড়ুইভাতি চলাকালীন তোলা একটি গ্রুপ ছবিতে সে রকম একটি লোককে অস্ত্র হাতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই ছবিটি সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে রাজারই ঘনিষ্ঠ কেউ।

Advertisement

প্রত্যাশিত ভাবেই, বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি সৈকত সরকারের দাবি, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এই ছবি সামনে আসার পর ওই নেতার পদোন্নতি নিশ্চিত। কারণ এই ধরণের নেতাই তৃণমূলের চাই। এরাই তো ভোট লুট করে!” তাঁর মতে, “তৃণমূল সরকার কাদের সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করছে, তা-ও বোঝা গেস। যে নিজে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মেলামেশা করে, সে আইনজীবী হলে তো সমাজবিরোধীদেরই লাভ।”

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজা দুবে। ওই ছবি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “আমি কাল পিকনিকে গিয়েছিলাম এটা সত্যি। কিন্তু এমন কেউ সেখানে ছিলই না, ছবি তোলা তো দূরের কথা। এটা কম্পিউটারে কারসাজি করা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধীরা ফটোশপ করে বাজারে ছেড়েছে।” তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র তথা কৃষ্ণনগর ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশিস রায় বলেন,“আইনজীবী হিসাবে এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। তবে ছবিটি আদৌ সত্যি না বানানো তা আগে জানতে হবে। তার আগে কোনও মন্তব্য করব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement